সুতারাং জিয়াউর রহমান খুনি…তাপস

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২১

সুতারাং জিয়াউর রহমান খুনি…তাপস

দিনরাত ডেস্ক ঃখুনি কর্নেল রশিদ, ফারুক রহমান কুমিল্লায় গিয়ে মোশতাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই ষড়যন্ত্র করেছিল। তারপর ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে সেনানিবাসে জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়ে এই কাজে জিয়াউর রহমানকে সম্পৃক্ত করে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হয়েও সেদিন হত্যাকারীদের বলেছিল ‘গো অ্যাহেড’। সেনা নীতিমালায় যখন একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কোনো অধস্তন কর্মকর্তাকে বলে ‘গো অ্যাহেড’, তার মানে এটা একটা নির্দেশ, এটা কমান্ড এবং অধস্তন কর্মকর্তা সেটা পালন করতে বাধ্য। তাই জিয়াউর রহমান সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিল রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করতে। সুতারাং জিয়াউর রহমান খুনি, সে খুনের সঙ্গে জড়িত।’

বুধবার (২৫ আস্ট) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বংশাল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে সে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যখন জানতে পারলো অধস্তন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে, রাষ্ট্রপতিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে, প্রচেষ্টা করছে, তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্ব ছিলো অধস্তন কর্মকর্তাদের আটক করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া। মার্শাল-ল-কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। জিয়াউর রহমান সেটা নেয়নি। বরং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, জিয়া মুক্তিযোদ্ধার আবরণে মূলত পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলো। তা প্রমাণিত। একজন মুক্তিযোদ্ধা কখনো রাজাকার, আলবদরদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে না। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিতে পারে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এ সময় প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়া যদি বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত না থাকতো তাহলে কেন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়েছিলো? কেন খুনিদের রক্ষা করছিল? কেন খুনিদের দূতাবাসে দূতাবাসে পদায়ন করেছিলো?

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ