তাহিরপুর সীমান্তে চোরাকারবারীদের নিরাপদ রুট সোর্স কালাম।

প্রকাশিত: ৪:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২১

তাহিরপুর সীমান্তে চোরাকারবারীদের নিরাপদ রুট সোর্স কালাম।

তাহিরপুর সীমান্তে চোরাকারবারীদের নিরাপদ রুট সোর্স কালাম।

তাহিরপুর প্রতিনিধি

 

কালামের

নেতৃত্বে প্রতিরাতে আসছে লাখ লাখ টাকার নিষিদ্ধ ইয়াবা ও অবৈধ কয়লার চালান,দেখার কেহ নেই।

 

হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তবর্তী এখন কথিত বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী ইয়ারা ও অবৈধভাবে কয়লা পাচারকারী সবকিছুই কালামের নিয়ন্ত্রণে। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই চোরাকারবারী সোর্স কালাম গংরা প্রতি রাতেই ভারত থেকে অবৈধভাবে কয়লা পাচাঁর করে নিয়ে আসছেন দেশের ভেতরে। এর সাথে দেশের ভেতরে আরো নানান ধরনের অবৈধ এবং নিষিদ্ধ মালামাল অবাধে আসলে ও দেখার যেন কেউ নেই। এসব পাচারকৃত কয়লা ও মাদক থেকে সোর্স পরিচয়ধারী কালাম নামে-বেনামে চাঁদা উত্তোলন করছে এমন অভিযোগ নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও ঐ সমস্ত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না আইনগত কোন ব্যবস্থা। ফলে ওরা দিন দিন নিরাপদ রোড মনে করে প্রতিনিয়ত অবাদে চললে চোরাচালানী কারবার। এদিকে বিজিবির নিয়মিত টহল ও অভিযানে প্রায় সময়েই পাচারকৃত মালামাল জব্দ করলে ও বন্ধ হচ্ছে না চোরাচালানী। কিন্তু অনেক সময়েই ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে এসব চোরাকারবারি ও কথিত সোর্স পরিচয়ধারীরা। যার কারণেই চোরাকারবারি ও সোর্সদের দাপট সীমান্তে দিনদিন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।

স্থানীরা জানায়,উপজেলা সীমান্তের চোরাচালানের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত উপজেলার লালঘাট সীমান্ত। এই সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে ভারত থেকে প্রতিরাতেই মো. কালামের নেতৃত্বে কয়েক লক্ষাধিক টাকার চোরাই কয়লা ও বিদেশী মদ পাচাঁর করছে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের লাল হোসেন এর ছেলে খোকন, একই গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে মানিক মিয়া, মৃত আব্দুল মুতালিব মিয়ার ছেলে শহিদুল্লাহ,কালা ফকির এর ছেলে রমজান, একই এলাকার বাঁশতলা গ্রামের মৃত আব্দুল হেলিম মিয়ার ছেলে কুদ্দুস মিয়া। তারা প্রতিদিন সকালে অর্ধশতাধিক শ্রমিক দিয়ে ভারত সীমান্তের ভিতর থেকে কয়লা উত্তোলন করে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি কাটা তারের বেড়ার ৯৭ পিলারের পাশে জঙ্গলে ভিতরে মজুত করে রাখে,এবং গভীর রাতে এই চক্রটি কয়লা জঙ্গল থেকে বাহির করে সীমান্ত পারাপার করে,সংসার হাওরে রাখা স্টীলবডিতে কাটের নৌকা বুঝাই করে পাটলাই নদী দিয়ে কলমাকান্দা,নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে থাকেন। এতে চোরাচালানিদের প্রতিটন কয়লা পাচাঁর করতে, দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানের নেপথ্যের কারিগড় কথিত সোর্স পরিচয়ধারী উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লালঘাট (সংসার পাড়) গ্রামের হাসিম মিয়ার ছেলে ইয়াবা কালামকে দিতে হয় দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা।

স্থানীয় একাধিক লোক আরো জানান,কালামের মাধ্যমে প্রতি রাতেই চোরাই কয়লা পাচার করা হচ্ছে এবং বিজিবি ও সাংবাদিককে টাকা দিতে হয় বলে তিনি টাকা নিচ্ছেন।

 

এ ব্যাপারে চোরাকারবারি গ্যাং লিডার উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের হোসাইন এর ছেলে মানিক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা সুযোগ বুঝে ভারত হতে কয়লা আনি এতে বিজিবির সোর্স ইয়াবা ও মাদক নিয়ন্ত্রনকারী কালামকে টাকা দেই। কিভাবে কত করে দেন এবং তিনি কার কথা বলে টাকা নেন,এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তিনি অনেকের কথা বলেন আমরা এতো কিছু জানাতে চাইনা।

 

এ বিষয়ে ইয়াবা কালামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এলাকায় কাম কাজ বন্ধ থাকায় কিছু লেবার পেটের দায় বিজিবির চোখ পাখি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে রাতের আধাঁরে সীমান্তের কাটা তারের ভেড়া দিয়ে কয়লা পাচার করে দেশের ভেতরে নিয়ে আসেন । তিনি আর বলেন, বর্ডার দিয়ে এখন আর আগের মতো চোরাই পথে মালামাল নামে না মাঝেমধ্যে নামলেও বিজিবির অজান্তেই নামে।

 

এ ব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন,তাদের কোন সোর্স নেই বলে জানান।

 

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান পিএসসি বলেন,সীমান্তে চোরাচালান হলে সুনির্দিষ্ট তথ্যদিন,এর সাথে জড়িতদের হাতেনাতে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

হাবিবা আক্তার জেছি //

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ