গোষ্ঠী বড় হলে বাচা যায় গাউত, রেবের কাছাত বাচা যায় না

প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২০

গোষ্ঠী  বড় হলে বাচা যায় গাউত, রেবের কাছাত বাচা যায় না

“ঘুষ্টি বড় হইলে গাউত বাচা যায়, রেবোর কাছাত বাচা যায় না” এই কথাটি বললেন কানাইঘাট বাণীগ্রাম ইউনিয়নের এক বয়োবৃদ্ধ লোক। বয়স ৮০ বছর পাড়ি দিয়েছ এই মানুষটির । এই জনমে কতো অন্যায় আর অবিচারের কাহিনির সাক্ষী তিনি, বললে বুঝাতে  পারবেননা।ঘুষ্টি (সম্প্রদায়) ছোট হওয়ায় শুধু দেখে গেলেন আর আল্লাহর কাছে ওদের পতন দেখার দোয়া করলেন।সেই দোয়া কবুল মনে হয় আজ হলো বলে জানালেন তিনি। নাম প্রকাশে আজও ভয়ে কাতর তিনি। যদি ঐ যমদূত পাষন্ডরা চালায় ঘোষ্টিগত নির্যাতন। এই বয়সে মরতে ভয় নাই, কিন্তু ভয় হয় ক্ষুদ্র ঘোষ্টির উপর যদি শুরু হয় চরম প্রতিশোধ। আমার প্রজন্মকে শেষ বয়সে বিপদে ফেলতে চাই না। শনিবার বিকেলে র্যাব কতৃক বহুল আলোচিত কানাইঘাটের  বহু গনধর্ষনের খলনায়ক আজাদ গ্রেফতারের খবর চলে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর এই আলোচনা শুনে প্রতিক্রিয়া জানাতে  দিনরাত পত্রিকার প্রতিবেদককে  এমন লোমহর্ষক কাহিনীর বর্ণনা দিলেন   এই বয়োবৃদ্ধ।  এই এলাকায় এমন অহরহর ঘটনা ঘটলেও স্বাক্ষিদের নিরাপত্তাজনীত কারনে, প্রমাণ বা স্বাক্ষি না দিতে পারায়,বা বড় ঘোষ্টির মানুষদের পরবর্তী ভয়ানক দৃশ্য না দেখার জন্য বড় বোয়ালের খাবার হয়েই সমাজে টিকে থাকতে হচ্ছে তাদেরকে। এমন সামাজিক রীতি মেনে প্রতিনিয়ত নির্যাতন সহ্য করে ছোট গোষ্ঠীর মানুষদের বসবাস করতে হচ্ছে এই সভ্যযুগেও। ব্রাহ্মণগ্রামে এমনই এক বড় গোষ্ঠীতে জন্ম গ্রহণকারী আজাদ এক জীবন্ত নরপশু  বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় চলছে। একের পর এক ধর্ষন করলেও গোষ্ঠীর জন্য পার হয়ে  যায় আজা।এমন অভিযোগ এলাকার সচেতন মহলের। সরেজমিনে কানাইঘাটের  সব যায়গায় আজ প্রতিবাদ চলছে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এ যেনো নতুন এক জনম দেখছে অসহায়রা।দেরীতে হলেও এই গ্রেফতার ও বিচার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবে এই জনপদের শান্তকামী মানুষ। দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী এখ সর্বস্তরের মানুষের। গ্রেফতার বিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে এখনো কো প্রেসনোট জানানো হয়নি। তবে কানাইঘাটের মানুষ চান পুলিশ অথবা র্যাব যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ জগন্য ঘটনাগুলোর  অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুক।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ