সিলেট ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২০
দিনরাত ডেক্সঃ গত ২৩ জুন সিলেটের কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর মহালে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সবধরনের পাথর উত্তোলন, পরিবহন কার্যক্রম বন্ধে আদেশ জারি করার পরও আদালতের নির্দেশকে তোয়াক্কা করছেন না কোয়ারীর সাবেক ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশ। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিষেধাজ্ঞা জারি বলবৎ থাকার পরও হাজার হাজার শ্রমিকদের মাধ্যমে কোয়ারী সচল রেখে মজুদকৃত কয়েকশ কোটি টাকার পাথর প্রতিদিন শত শত বড়বড় জাহাজ, লঞ্চ, বলগেট দিয়ে নৌপথে সাপ্লাই দেয়া হচ্ছে। আর কোয়ারী থেকে প্রতিদিন এসব পাথরবাহী বাহন থেকে রয়্যেলিটির নামে ৫০/৬০ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আদায় করে যাচ্ছেন কোয়ারীর সাবেক ইজারাদার শত কোটি টাকার মালিক মস্তাক আহমদ পলাশ ও তার সহযোগী কোয়ারীর নিয়ন্ত্রণকারী ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিন মেম্বার ও লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও তার লোকজন। স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে সুরমা নদীর নৌপথ দিয়ে দিনে রাতে কোয়ারী থেকে পাথরবাহী জাহাজ, লঞ্চ, বলগেট, স্টীমার দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাথর নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোন ধরনের বাস্তব ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। এতে করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছে এবং কোয়ারীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ চূড়ান্তভাবে অবমাননা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন, গত ২৩ জুন উচ্চ আদালতের নির্দেশে কোয়ারীর সমস্ত কার্যক্রম বন্ধে আদেশ জারি করা হয়, কিন্তু তারপরও কোয়ারীতে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করছে। শত শত পাথর বোঝাই নৌজান চলছে। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে আজ শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের নেতৃত্বে কোয়ারীতে ট্রাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় কোয়ারীতে শত শত পাথর বোঝাই লঞ্চ, স্টীমার, জাহাজ, বলগেট ছিল। চোখের সামনে নৌপথে এসব পাথরবাহী বাহন চলতে দেখা গেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নৌপথে পাথর পরিবহনের দায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ১৪টি পাথরবাহী বালফ্রেড জাহাজ ও ১টি স্কেভেটর বিকল এবং ১২টি ক্রাসার মেশিন বিনষ্ট করেন। অভিযান থেকে চলে আসার পর আবারো কোয়ারী সচল হয় এবং শত শত জাহাজ, বলগেট, নৌকা পূর্বের মতো নৌপথে দেশের বিভিন্ন পাথর নিয়ে যাচ্ছে। কোয়ারীর সাবেক ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশের নির্দেশে তমিজ উদ্দিন মেম্বার ও তার লোকজন লোভাছড়া চা-বাগানের লোভা নদীর ঘাটে পাথর বোঝাই বাহন থেকে নিয়মিত রয়্যেলিটির টাকা আদায় করছে বলে স্থানীয়রা জানান। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে রয়্যেলিটি আদায়ের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক ভাবে কোন ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে সাবেক ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশ কোয়ারীতে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এখনও করে যাচ্ছেন বলে সরকার দলের অনেক নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান বার বার বলে আসছেন, কোয়ারীতে অভিযান হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার কারনে কোয়ারীতে অভিযান চারিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি বিকল করেছেন। তার কথা অভিযান চলবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- ০১৭১২ ১৭ ৪৭ ৯৬
ইমেইলঃ- newssylbangla@gmail.com
রংমহল টাওয়ার ৪র্থ তলা বন্দর বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D