তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন অদ্য ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার দায়ভার ফেসবুককেই নিতে হবে

প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২১

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন অদ্য ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার দায়ভার ফেসবুককেই নিতে হবে

ফাহিমা বেগম, স্টাফ রিপোর্টারঃ ফেসবুক সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার দায় ফেসবুককে নিতে হবে। এ দায় তারা কোনো অবস্থাতেই এড়াতে পারে না।

রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড না হতো তাহলে সারাদেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ঘটেছে। আমি ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্য গিয়েছিলাম, সেখানে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ নিয়ে বসেছিলাম এবং এ বিষয়গুলো নিয়ে আমি নিজে আলোচনা করেছিলাম। ইউরোপেও একটি জরিপ থেকে জানা যায়, ইউরোপের ৮০ ভাগ মানুষ মনে করে সোশ্যাল মিডিয়া অনেকক্ষেত্রে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সমাজের শান্তির জন্য হুমকিস্বরুপ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপের পার্লামেন্টারি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হয় এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটে। নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামুর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনারা এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন? তিনি জানিয়েছেন পারসনকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। পারসন পরিচয় লুকিয়ে পোস্ট দেয়, কিংবা বিদেশ থেকে পোস্ট দেয়। উই ফাইন্ড অথরিটি, সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিস প্রোভাইডার। যে সকল ঘটনা ঘটেছে সেটির দায় সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। এটি নিয়ে ভাবার বিষয় আছে। শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী এটি উদ্বেগ তৈরি করেছে।

তিনি আরোও জানান, টেলিফোনের সিম কিনতেও তার আইডি কার্ড লাগে, একজন ব্যক্তি কয়টি সিম পাবে সেটিও নির্ধারণ করা আছে এবং একটি করপোরেট হাউজ কয়টি সিম পাবে সেটিও নির্ধারণ করা আছে। সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও আইডি কার্ড দিয়ে যেন ফেসবুক আইডি খুলতে পারে, সেটি করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। যারা ফেসবুকে চাকরি করেছে তারা চাকরি ছেড়ে দিয়ে এসে বলছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়। তাদের সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার চেয়েও নিজেদের লাভটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এটা আমার নয় তাদের সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ