৪ হাজার বছরের পুরোনো মমির রহস্য উন্মোচন

প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২১

৪ হাজার বছরের পুরোনো মমির রহস্য উন্মোচন

উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি দুর্গম মরুভূমি অঞ্চলে অনেকগুলো নৌকার ওপর শত শত সমাহিত মমির সন্ধান পাওয়ার পর প্রত্নতাত্ত্বিকরা বিভ্রান্ত ও বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৯০-এর দশকে চীনের জিনজিয়াংয়ের তারিম অববাহিকায় মমিগুলোর সন্ধান মেলে। চার হাজার বছরের পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও মমিগুলোর শরীর ও পোশাকগুলো অবিশ্বাস্যভাবে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের মুখের অবয়ব ও চুলের রং স্পষ্টভাবে দেখা যায়। মরুভূমির শুষ্ক বাতাসের ফলে প্রাকৃতিকভাবেই অক্ষত থাকে এগুলো।উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি দুর্গম মরুভূমি অঞ্চলে অনেকগুলো নৌকার ওপর শত শত সমাহিত মমির সন্ধান পাওয়ার পর প্রত্নতাত্ত্বিকরা বিভ্রান্ত ও বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৯০-এর দশকে চীনের জিনজিয়াংয়ের তারিম অববাহিকায় মমিগুলোর সন্ধান মেলে। চার হাজার বছরের পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও মমিগুলোর শরীর ও পোশাকগুলো অবিশ্বাস্যভাবে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের মুখের অবয়ব ও চুলের রং স্পষ্টভাবে দেখা যায়। মরুভূমির শুষ্ক বাতাসের ফলে প্রাকৃতিকভাবেই অক্ষত থাকে এগুলো।মমিগুলোর চেহারা ছিল পশ্চিমাদের মতো, উইলের পোশাক পরা। অন্যদিকে সমাধিস্থলে পনির, গম পাওয়ায় ধারণা করা তারা পশ্চিম এশিয়ার দূর-দূরান্ত থেকে আসা পশুপালক অথবা মধ্য এশিয়ার পাহাড় ও মরুভূমি থেকে আসা কৃষক।

 

এসব মমির ডিএনএ নিয়ে গবেষণা করেছেন চীন, ইউরোপ, ও আমেরিকার গবেষকরা। তারা ১৩টি মমির জিনোম সিকোয়েন্স করে একটি ভিন্ন চিত্রের সন্ধান পেয়েছেন। প্রকাশিত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ মমিগুলো পশ্চিমা বা কোনো অভিবাসী কৃষকের নয় এগুলো স্থানীয় একটি গোষ্ঠীর যারা প্রাচীন বরফ যুগের এশীয় থেকে এসেছেন।

 

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ক্রিস্টিনা ওয়ারিনার বলেন, মমিগুলোর সত্য আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও একইভাবে মুগ্ধ হয়েছে। অসাধারণভাবে মমিগুলো সংরক্ষিত ছিল। অত্যন্ত অস্বাভাবিক প্রেক্ষাপটে তাদের পাওয়া গেছে। মমিগুলোতে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক উপাদান পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।মমিগুলোর চেহারা ছিল পশ্চিমাদের মতো, উইলের পোশাক পরা। অন্যদিকে সমাধিস্থলে পনির, গম পাওয়ায় ধারণা করা তারা পশ্চিম এশিয়ার দূর-দূরান্ত থেকে আসা পশুপালক অথবা মধ্য এশিয়ার পাহাড় ও মরুভূমি থেকে আসা কৃষক।

 

 

 

মমিগুলোর বংশগত উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক গবেষক দল পুরোনো ১৩টি মমির জেনেটিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেন। এতে দেখা যায়, মমিগুলো ২১০০ থেকে ১৭০০ খৃস্টপূর্বে।

 

তারা এটিকে পাঁচজন ব্যক্তির ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তুলনা করেন। যারা পাঁচ হাজার বছর আগে জঙ্গেরিয়ান অববাহিকায় আরও উত্তরে বসবাস করতেন। এই অঞ্চলে তারাই প্রাচীনতম মানব।

 

বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, তারিম অববাহিকায় যে মমিগুলো পাওয়া গেছে তার সবাই সেখানের স্থানীয়। অন্য কোনো স্থান থেকে কেউ ওই এলাকায় যায়নি। তবে তারা প্রাচীন উত্তর ইউরেশিয়ান অঞ্চলের মানুষের উত্তরসূরি। শেষ বরফ যুগের সময় ওই গোষ্ঠীটি অদৃশ্য হয়ে যায়। যার বয়স হবে প্রায় ১১ হাজার ৫৫০ বছর।

 

হাবিবা আক্তার জেছি //