জাফলংয়ে আলিম উদ্দিনের উপর পাথরখেকো চক্রের সশস্ত্র হামলা, উত্তেজনা

প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২১

জাফলংয়ে আলিম উদ্দিনের  উপর পাথরখেকো চক্রের  সশস্ত্র হামলা, উত্তেজনা

হাবিবা আক্তার ///

 

সিলেটের জাফলংয়ে এলাকাবাসী সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার ৫ দিনের মাথায় চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে আলিম উদ্দিনকে গুরুতর আহত করেছে পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জাফলং বাজারে কাছে নয়াবস্তি রাস্তায় এই হামলা চালানো হয়। এতে গুরুতর আহত আলিম উদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় এসআই লিটনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম জাফলং বাজারে অবস্থান করছিলো বলে অভিযোগ করেছেন আলিম উদ্দিনের পরিবার।

আলিম উদ্দিনের স্বজনরা জানিয়েছেন- জাফলংয়ের পাথরখেকো চক্রের মুল হোতা ইমরান হোসেন সুমন ওরপে জামাই সুমন ও বিশ্বনাথী ফয়জুলের নেতৃত্বে সশস্ত্র ক্যাডাররা এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় রাতভর জাফলংয়ে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে জাফলংয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- মধ্যরাতে আলিম উদ্দিন জাফলং বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে নয়াবস্তি গ্রামের নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পাথরখেকো চক্রের সদস্য ফিরোজের বাড়ি থেকে এই হামলা চালানো হয়। পাথরখেকো চক্রের মুল হোতা জামাই সুমন, বিশ্বনাথী ফয়জুল, সমেদ, সাবু, ফিরোজ, করিম, আকবর, আজকর, সুহেলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আলীম উদ্দিনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতির কুপায়। এতে আলিমের ডান হাত ভেঙে গেছে। তার মাথা, কাধ, পায়ে উপর্যূপরি কুপানো হয়। আলিম উদ্দিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারী পাথরখেকোরা মেলার মাঠের আস্তানার দিকে চলে যায়।

ঘটনার পর স্থানীয় জনতা ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের কয়েকটি দল সেখানে গিয়ে আলিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। রাতেই আলিম উদ্দিনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অস্ত্রোপচার করা হয়। রাতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের কয়েকটি দল নয়াবস্তি ও মেলার এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালালেও হামলাকারীদের খুজে পায়নি। এ ঘটনার পর থেকে জাফলংয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আলীম উদ্দিনের ভাই রেজন আহমদ জানিয়েছেন- বালু লুটপাটের পর পাথরখেকো জামাই সুমন ও ফয়জুলের নেতৃত্বে বালু লুটপাট চলছিলো। ৫ দিন আগে তার ভাই আলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয়রা গিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে মেশিন সহ নৌকা বিদায় করে দেন। পুলিশের শেল্টারে থাকা পাথরখেকোরা জাফলংয়ে নিরাপদে পাথর লুট করতে এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গোয়াইনঘাট থানার এসআই লিটন চন্দ্র জানিয়েছেন- ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে আলীম উদ্দিনকে উদ্ধার করেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ