আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসে বিশ্বনাথে সভা

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২১

আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী  দিবসে বিশ্বনাথে সভা

হাবিবা আক্তার /////

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে ‘‘আপনার অধিকার, আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বের) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. কামরুজ্জামান, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মধু মিয়া, হাজী ফয়জুর রহমান, হাজী মতছির আলী, সৌমিত্র ধর প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।

 

বেগম রোকেয়া দিবসে জয়িতা

সম্মাননা পেলেন বিশ্বনাথের ৪ নারী

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বের) সকালে র্যা লী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

র্যা লীটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যা লী শেষে উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বদরুন নাহারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. কামরুজ্জামান, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার আহমদ, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা।

অনুষ্ঠানে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রাপ্ত ৪ জন নারীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে সফল জননী হিসেবে সালেহা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যেমে জীবন শুরু করায় মোছাঃ আঙ্গুরা বেগম, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করায় কৃষ্ণ রানী বৈদ্য এবং শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় মোছাঃ বাহার বেগম সম্মাননা অর্জন করেন।

 

আজ ১০ ডিসেম্বর

বিশ্বনাথ মুক্ত দিবস

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

১০ ডিসেম্বর। আজ বিশ্বনাথ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানী হায়েনা ও তাদের এদেশীয় দোসরদের পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এর মাধ্যমে পাক হানাদার মুক্ত হয় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জনপদ ও প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলা। এরপর থেকে ১০ ডিসেম্বর বিশ্বনাথ মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর কুরুয়া, তাজপুর, দয়ামীর, নাজিরবাজার, রশিদপুর শক্রমুক্ত করে এসে মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারেন তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি আবুল হোসেন ও দারোগা আলী আহমদ এবং স্থানীয় রাজাকাররা স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করতে দিচ্ছে না। এই সংবাদে উত্তেজিত হয়ে ৫নং সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার আবদুন নূরের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা সরাসরি উপজেলা সদরে পৌঁছে তাদের আত্মসমর্পণে করতে বাধ্য করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জোরালো ভ‚মিকার কারণে এ সময় স্থানীয় রাজাকাররা পালিয়ে গেলে থানা পুলিশ আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। আত্মসমর্পণের ঘটনায় রাত হয়ে যাওয়ায় ওই দিন আর বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।

পরদিন ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বিশ্বনাথ থানা সদরের রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ করে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিশ্বনাথকে শক্র মুক্ত ঘোষণা করেন ৫নং সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুন নূর। এ সময় বিশ্বনাথ ইউনিয়নের উত্তর মিরেরচর গ্রামের আবদুল মুতলিব বিএসসিকে থানা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ¯েøাগান দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ যোগ দেন। পতাকা উত্তোলনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গিয়ে বিলম্ব হওয়ায় পরদিন আবার বিজয় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তাই ১১ ডিসেম্বর দৌলতপুর গ্রামের মরহুম আবদুর রব চৌধুরী ওরফে সমুজ মিয়ার সভাপতিত্বে বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ৫নং সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুন নূর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একই সেক্টরের ল্যান্সনায়ক গোলাম মোস্থফা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মরমী কবি হাছন রাজার দৌহিত্র ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম দেওয়ান তৈমুর রাজা চৌধুরীর পুত্র দেওয়ান সমশের রাজা চৌধুরী, থানা প্রশাসক মরহুম আবদুল মুতলিব বিএসসি, মিরেরচর গ্রামের মরহুম আবদুল মন্নান মনাফ, চান্দসিরকাপন গ্রামের মরহুম ইসকন্দর আলী সারং, মরহুম কয়েছ চৌধুরী, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মুফতিরগাঁও গ্রামের আকমল আলী, ধর্মদা গ্রামের তজম্মুল আলী, নোয়াগাঁও গ্রামের মরহুম আছলম খান, রাজনগর গ্রামের একরাম মিয়া, নরসিংপুর গ্রামের মরহুম আইন উল্লাহ প্রমুখ।

এরপর থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বরকে ‘বিশ্বনাথ মুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন। এবছরও বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাব, বিশ্বনাথ থিয়েটারসহ বিভিন্ন সংগ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ