ওসমানীনগরে জোরপূর্বক বসতবাড়ীর গাছপালা কাটা ও বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২২

ওসমানীনগরে জোরপূর্বক বসতবাড়ীর গাছপালা কাটা ও বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্ট:::

সিলেটের ওসমানীনগরে জোরপূর্বক বসতবাড়ীর গাছপালা কেটে নেয়া ও বৃদ্ধা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলার নিজ মান্দারুকা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।এবিষয়ে ৩ এপ্রিল সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ০১নং আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছেন স্থানীয় নিজ মান্দারুকা গ্রামের মৃত রইছ উল্লাহর পুত্র আব্দুল কাইয়ুম। অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদালত পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নিতে ওসমানীনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাইন উদ্দিন।
হামলা ও মারধরের ঘটনায় আতংকে দিন পার করছেন বাদী আব্দুল কাইয়ুমের পরিবার। তিনি জানান, আসামীরা প্রতিনিয়ত তাদের হুমকী দিচ্ছেন। আসামীদের হুমকিতে অজানা আতংকে রয়েছেন তারা।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ওসমানীনগর উপজেলার নিজ মান্দারুকা গ্রামের মৃত রইছ উল্লাহর পুত্র আব্দুল কাইয়ুমের পরিবারের সাথে পার্শবর্তী রহিম উল্লার পুত্র আসামী বুলবুল মিয়া (৪৫), মানিক মিয়া (৪৮), আব্দুল বাকি (৫৫), মৃত ছুরত আলীর পুত্র কবির আহমদ (৩০) ও ফারুক আলীর পুত্র মারুফ আলী (২২) গংদের দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এরই সুত্র ধরে গত ৩০ মার্চ বুধবার দুপুরে বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকার সুযোগে রামদা, কুড়াল, কাঠের রুল, লােহার বড়, গাছ কাটার কনরাত, বাশের লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসামীরা বাড়িতে ঢুকে বাদীর মাকে ঘিরে ধরে মারধর করে। এসময় আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে তারা বাদীর মাকে জিম্মি করে করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের কাজে বাঁধা না দিতে বলে আসামীরা বাড়ির বাঁশ, গাছ ও মুর্তাগাছ কেটে নেয়। এসময় আসামীরা বাড়ীতে রূপনকৃত মূল্যবান দেশী-বিদেশী ফসলের চারাগাছ কেটে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল কাইয়ুম।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আশপাশের কিছু লােককে ঘটনাস্থলে আসছে দেখে ১ নম্বর আসামি বুলবুল মিয়া বাদীর মাকে মাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে এলোপাতারি মারধর করে। এরপর বাদীর বৃদ্ধা মা ঘটনাস্থলে পড়ে থাকাবস্থায় লােকজন আসছে দেখে আসামীগণ বাশ মুর্তা সহ বাড়ীর লাকড়ি নিয়া চলে যায়। এসময় ঘটনা নিয়ে মামলা মােকদ্দমা করলে তকে এবং পুত্রবধুকে সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে আসামীরা প্রাণে মেরে লাশ ঘুম করে ফেলবে বলে হুমকী দেয়।
পরে উপস্থিত লোকজন বাদীর মাকে উদ্ধার করে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে করেন। সেখানে এক সপ্তাহ ভর্তি থেকে বর্তমানে তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের অধিনে চিকিৎসাধীন আছেন।
এবিষয়ে বাদী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মায়ের শারিরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিলম্বে মামলা করেছেন। তিনি বলেন, আসামীরা প্রতিনিয়ত হুমকী দিচ্ছেন। এজন্য তারা পরিবার নিয়ে আতংকে রয়েছেন।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ( ৮ এপ্রিল) তিনি কোর্ট থেকে কাগজ পেয়েছেন, কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ