সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২২
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আবারো সুনামগঞ্জ শহর সহ বিভিন্ন উপজেলার বাড়ী-ঘরে বন্যার পানি উঠছে। এতে জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে।
ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে বিগত ১৬ ই জুন থেকে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলা শহর সহ জগন্নাথপুর, ছাতাক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভপুর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ, মধ্যনগর, দিরাই ও শাল্লাবাসী পানি বন্দী হয়ে আছেন। গত ৪/৫ দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কিছুটা পানি কমলে জেলার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ও আত্বীয় -স্বজন এর বাড়ীতে আশ্রিত মানুষজন এর মধ্যে কেউ কেউ নিজ বাড়ীতে ফিরে কাঁদা পানি মাড়িয়ে বসবাস করার চেষ্টা করতে না করতেই বিগত ২৭ শে জুন থেকে ফের অবিরাম প্রবল বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে সুরমা, কুশিয়ারা ও চিলাই নদীর পানি নতুন ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে আবারো বাড়ী-ঘরে উঠতে শুরু করেছে। যারফলে আবারো জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। এপানি মরার উপর খারার ঘা হয়ে দেখা দিচ্ছে। এমনিতেই মানুষ খেয়ে না খেয়ে অর্ধাহারে -অনাহারে দিনাতিপাত করছেন সুনামগঞ্জের ভানবাসী জনসাধারণ। কেননা সরকারি -বেসরকারি ভাবে যে ত্রাণ পেয়েছেন ভানবাসী মানুষ তা প্রয়োজন এর তুলনায় সিকিভাগ ও নয়। বিদায় ভানবাসী মানুষের জন্য ত্রাণ প্রয়োজন।
ভানবাসী সুনামগঞ্জ সদর,দিরাই, বিশ্বম্ভপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার এর একাধিক ব্যাক্তি মুঠোফোনে একান্ত আলাপকালে বলেন, পানি বন্দী জীবন-যাপন কতটা যে ভয়াবহ তা বলে শেষ করার মতো নয়। ভেবেছিলাম পানি কমতে শুরু করেছে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। তা আর হল কই। গতকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সহিত পাহাড়ী ঢলের পানি নতুন ভাবে ঘর-বাড়ীতে আবার উঠছে। ভিষণ দুঃশ্চিন্তায় আছি। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ীতে এসেছিলাম আবার আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। এক প্রশ্নের জবাবে তাহারা আরো বলেন, বিগত ১৪ দিনের পানি বন্দী সময়ে একবার সরকারি শুকনো খাবার ও কিছু চাউল পেয়েছিলাম। ব্যাক্তি উদ্যোগে বিতরণ কৃত কিছু ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছি। কাঁচা চুলা ভিজা লাকড়ী খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। ত্রাণ এর জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তার জন্য সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, গতকাল ২৯ শে জুন ৯ টা থেকে আজ ৩০ শে জুন ৯ টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কাছে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন বৃষ্টি হয়েছিল ১৯৫ মিলিমিটার।গতকাল চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৯৫ মিলিমিটার।তিনি আরো বলেন, সুনামগঞ্জ শহরের কাছে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার নীচে থাকলেও ছাতক উপজেলা শহরের কাছে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এখন যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে তাই পানি বাড়ছে আতংকিত হওয়ার মতো কোনো পূর্বাভাস নেই। জেলার সবকটি নদ-নদীর পানিও আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যাতো জেলা জুড়ে। মাঝে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো জেলার বিভিন্ন উপজেলার রাস্তা -ঘাট ও বাড়ী-ঘরে পানি আছে। বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- ০১৭১২ ১৭ ৪৭ ৯৬
ইমেইলঃ- newssylbangla@gmail.com
রংমহল টাওয়ার ৪র্থ তলা বন্দর বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D