সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২২
হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জগন্নাথপুরে কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। দেশী গরুর মূল্য বেশী। হাটে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্য বিধি।
আর মাত্র তিন দিন পরই ১০ ই জুলাই রোজ রবিবার পবিত্র ঈদুল আযহা। এই ঈদকে লক্ষ্য করে হাওর কন্যা খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলা জগন্নাথপুরে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। আজ বুধবার ৬ ই জুলাই বুধবার জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টস্থ শেষ পশুর হাট। যার ফলে বাজার জুড়েই দেশী ও বিদেশি জাতের প্রচুর গরু,ছাগল ও ভেড়া উঠেছে। বিশেষ করে দেশী জাতের কোরবানির পশুর চাহিদা ও মূল্য বেশী। বাজার জুড়ে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। যদিও জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার আগামীকাল ৭ ই জুলাই ও প্রাচীণতম পশুর হাট রসুলগঞ্জ বাজার ৮ ই জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এবং উপজেলার ছোট খাটো হাটবাজারে পশুর হাট রয়েছে।
আজ ৬ ই জুলাই রোজ বুধবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরস্থ জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টে পশুর হাটে বিভিন্ন জাতের গরু,ছাগল ও ভেড়া নিয়ে ব্যবসায়ীরা এসেছেন। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ক্রেতা -বিক্রেতাদের মধ্যে নেই স্বাস্থ্য বিধির বালাই। চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে গরু,ছাগল ও ভেড়া।
অনেকেই সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানির পশু ক্রয় করতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরছেন। আবার কেউ কেউ ঈদের দু/একদিন আগে অর্থাৎ ৭/৮ ই জুলাই রানীগঞ্জ বাজার ও রসুলগঞ্জ বাজার কিংবা উপজেলার গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত গরুর খামার থেকে কোরবানির পশু ক্রয় করবেন বলে জানা গেছে। পশুর হাটের সুন্দর ও স্বচ্ছ রাখতে থানা পুলিশ এর বিশেষ টিম সার্বক্ষনিক টহল দিচ্ছেন।
ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, অন্য বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর হাটের চেয়ে এবার একটু দেরীতে বেচা-বিক্রি জমে উঠেছে। তবে এবারের হাটে গরু, ছাগল ও ভেঁড়ার মূল্য অনেক বেশি । যা এর আগে এতো চড়া মূল্যে গরু- ছাগল বিক্রি হয়নি। এবার একদম ছোট আকারের দেশী গরু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। এধরনের আকারের ছোট গরু সাধারণত কেউ কোরবানি নিতে চান না। কিন্তু নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ কিনছেন। তবে এ জাতের গরু ক্রয়ে প্রচন্ড অনিহায ক্রেতাদের। হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা খুবই বেশি। এ আকারের গরু ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একটু বড় আকারের গরু এক লাখ থেকে সর্বচ্চো দু থেকে তিন লাখ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির হাটে আসা সোহেল মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, হাটে গরু বেশি থাকলেও চাহিদা অনুয়ায়ী পাচ্ছিনা। এরমধ্যে অতিরিক্ত দাম। এখনও কিনা হয়নি। হাটে ঘুরছি।
আরেক ক্রেতা সাজন বলেন, ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা মুল্যের সাইজের গরু মিডিয়াম সাইজের । চাহিদা অনুয়ারী গরুই নেই। অনেকক্ষণ ঘুরে দেখেছি। শেষ পর্যন্ত ফিরে যাচ্ছি ঈদের শেষ হাট শুক্রবার উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে কিংবা কোন এক হাটে কিনবো।
হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী আব্দুস শহীদ বলেন, হাটে দেশি গরুই বেশি। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুয়ায়ী গরু কিনছেন। ন্যায়্য মূল্যের গরু বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জগন্নাথপুর বাজারের বিশিষ্ট বয়বসায়ী পশুর হাট এর ইজারাদার মকবুল হোসেন বলেন, কোরবানির হাটে জগন্নাথপুর ছাড়াও পাশ্ববর্তী ছাতক, বিশ্বনাথ উপজেলাসহ সিলেটর আশপাশ অনেক অঞ্চল থেকে ক্রেতা বিক্রেতার গরু-ছাগল বেচাবিক্রির জন্য ছুটে আসেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরু ও ছাগলের দাম বেশি। তবে ক্রেতারা তাদের চাহিদা অনুয়ারী গরু ছাগল কিনছেন।
জগন্নাথপুর বাজার পশুর হাট এর আশিলের দায়িত্বে থাকা দিলোয়ার মিয়া বলেন, ঐতিহ্যবাহী রসুলগন্জ বাজারে আজ শেষ কোরবানির হাট বসে। দিনভর ক্রেতাদের উপস্থিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো বাজার এলাকা।শান্তুিপূর্ণ পরিবেশে হাটে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে ।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, পশুর হাট এর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের প্রশাসনের লোকজন সিভিল ড্রেসে টহল দিচ্ছেন। যাতে কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা না হয় সে দিকে নজরাদি আছে। সমগ্র পৌর এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতাধীন আছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, জগন্নাথপুর পৌর সদরের অস্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও জগন্নাথপুরে স্থায়ী দুইটি পশুর হাট রয়েছে। তমধ্যে রসুলগঞ্জ বাজার একটি। অপর হাটটি হলো রানীগঞ্জ বাজার। অস্থায়ী হাট রয়েছে বেশ কয়েকটি।
কোরবানির ঈদের শেষ মূর্হুতে পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- ০১৭১২ ১৭ ৪৭ ৯৬
ইমেইলঃ- newssylbangla@gmail.com
রংমহল টাওয়ার ৪র্থ তলা বন্দর বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D