সয়াবিনে নতুন দাম কার্যকর আজই

প্রকাশিত: ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২২

সয়াবিনে নতুন দাম কার্যকর আজই

দিনরাত ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় দেশেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম কমানো হয়েছে। এই দফায় প্রতিলিটার সয়াবিনের দাম কমানো হয়েছে ১৪ টাকা এবং পাম অয়েলে কমেছে ৬ টাকা।

আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে এই হ্রাসকৃত দাম কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংগঠনের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী এখন থেকে দেশে প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে বোতলজাত ১৮৫ টাকা এবং খোলা ১৬৬ টাকা। অনুরূপভাবে পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হবে ৯১০ টাকায়। এছাড়া পাম অয়েলের নতুন দাম হবে ১৫২ টাকা।

এদিকে নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে কি না তা যাচাইয়ে বাজারে অভিযান চালাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি জানান, ভোক্তাপর্যায়ে যাতে দ্রুত নতুন দামের সুফল মেলে সে লক্ষ্যে অভিযান চালাবে অধিদপ্তর। এই অভিযানে কোম্পানিগুলো নতুন দামে তেল সরবরাহ করছে কি না এবং বিক্রেতারা সেটি রাখছে কি না তা দেখা হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ পরীক্ষা করা হবে।

গত ২৬ জুন দেশে ভোজ্যতেলের দাম কমানো হয়। ওই সময় প্রতি লিটার সয়াবিনে ৬ টাকা দাম কমানো হয়। সে অনুযায়ী সয়াবিন বোতলজাত প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৯ টাকা ও খোলা ১৮০ টাকা। আর আগের দাম ১৫৮ টাকায় পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছিল।

এর আগে রোববার ভোজ্যতেলের দাম কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা কমছে।

আন্তর্জাতিক বাজার দরের প্রেক্ষাপটে দেশে দাম কমার এই হারের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দামে অস্থিরতা না থাকলে এবার দাম কমানোর রেশিও আরও বাড়তে পারত। আগে এক ডলারে যে টাকা পাওয়া যেত এখন তার চেয়ে বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর প্রভাব তেলের দামেও পড়েছে। ফলে চাইলেও দাম আরও কমানো সম্ভব হয়নি।’
তপন কান্তি ঘোষ দাবি করেন, তেলের দাম কমা-বাড়া একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে দেশে ভোজ্যতেলের দাম আরও কমানো হবে।

জানা গেছে, সয়াবিন আমদানি হয়ে থাকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দূরের দেশগুলো থেকে। ওইসব বাজার থেকে তেল আনতে ৪০ থেকে ৫০ দিন সময় লাগে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে তার প্রভাব পড়তে দেরি হয়। আবার দেশে যখন কমে আসে তার সুফল পেতে না পেতেই দেখা যায় আন্তর্জাতিক বাজারের আবার বেড়ে গেছে।

অপরদিকে পাম অয়েল আমদানি হয় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে। পাম অয়েল দেশে আসতে সময় কম লাগলেও বিশ্ববাজারে এতোদিন সয়াবিনের উচ্চ মূল্যের কারণে পাম অয়েলের চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। তবে ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দামও কমে আসে। তবে সে তুলনায় দেশে দাম কমেছে কম হারেই।

সিলেট প্রতিদিন/ফাহিমা

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ