ইসহাক ভূঁইয়া ছিলেন পল্লীবন্ধুর একনিষ্ঠ সৈনিক-রওশন এরশাদ

প্রকাশিত: ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২

ইসহাক ভূঁইয়া ছিলেন পল্লীবন্ধুর একনিষ্ঠ সৈনিক-রওশন এরশাদ

জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ।

গতকাল শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত সোয়া নয়টায় ইসহাক ভূঁইয়া নিজ বাসায় মৃত্যু বরন করেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ।

শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন রওশন এরশাদ। এসময় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান।

শোক বিবৃতিতে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ইসহাক ভুঁইয়া ছিলেন স্বাধীনতাযুদ্ধের অকুতোভয় সৈনিক। জাতীয় পার্টির নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক ছিলেন ইসহাক। শুধু রাজনীতিবিদই নন, তিনি ছিলেন পুরোদস্তুর একজন আদর্শবান মানুষ। পার্টির যে কোনো কর্মকান্ডে তাকে দেখা যেতো স্বমহিমায়। তার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টি একজন যোগ্য, দক্ষ ও ত্যাগী নেতাকে হারাল।

অনুরূপ এক শোকবার্তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভুঁইয়া’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব ও পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনের সদস্য সচিব গোলাম মসীহ।

গোলাম মসীহ বলেন, পার্টির সব আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশ নিতেন ইসহাক ভূঁইয়া। তিনি এরশাদ মুক্তি পরিষদের একজন কর্মীও ছিলেন। পার্টির দূর্দিনে তিনি ছিলেন ত্যাগী ও পরীক্ষিত এরশাদ সৈনিক।

মৃত্যুর আগে ইসহাক ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় বেশ কয়েকবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি,১ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব ও গুনগ্ৰাহি রেখে গেছেন।

আজ রোববার সকাল ১০ ঘটিকায় রায়ের বাজার মসজিদুল আরাফাহ্’য় প্রথম নামাজে জানাজা শেষে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় নেওয়া হবে মরহুমের মরদেহ
এবং সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। এরপর রাজধানীর মিরপুরস্হ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূইয়া’র মরদেহ দাফন করা হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ