লেচু চুরি কান্ডে সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্মকর্তা মইনুল’কে হত্যার ঘটনায় মামলা রের্কড, আসামী ৯

প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৪

লেচু চুরি কান্ডে সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্মকর্তা মইনুল’কে হত্যার ঘটনায় মামলা রের্কড, আসামী ৯

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সড়ক দুঘর্টনায় সিলেট গ্যাসফিল্ডস লিমিটেড এর উপ-ব্যবস্থাপক মইনুল হোসেন আয়ানী (৫০) নিহতের ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত (১৩ জুন) রাতে গ্যাস ফিল্ড ৮ নং কুপ এলাকায় উল্লেখিত আসামীদের হাতে পরিকল্পিত ভাবে গ্যাসফিল্ড এর এই কর্মকর্তা নিহত হন।
নিহত ময়নুল হোসেন আয়ানি উপজেলার উমনপুর গ্রামের মৃত ঈছা মিয়ার ছেলে।
এই ঘটনা গত (৭ জুলাই ২০২৪ খ্রি:) ঘটে। এতে নিহতের ভাই নজমুল হোসাইন ( এমদাদ) বাদী হয়ে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলায় দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ( ৩ অক্টোবর) জৈন্তাপুর মডেল থানা মামলা টি আমলে নিয়ে রেকর্ড ভুক্ত করেছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে উমর আলী (২২) সমসুর উদ্দিনের ছেলে সোহেল আহমদ বারেক (২২) মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে ইউসুফ আলী (২২), তাহের আলী ছেলে সুবেদ আলী (২১), মরম আলীর ছেলে হরমুজ আলী (৪২), সিদ্দেক আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪২),জাবেদ আলীর ছেলে মরম আলী (৬০) সিদ্দেক আলীর ছেলে তাহের আলী (৪৫), ও একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে সমসুর ইসলাম (৫৪),।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানাগেছে , একটি সালিশি বিচারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আয়ানী। তিনি জৈন্তাপুরের চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামের মরহুম ঈসা মেম্বারের ছেলে। গত জুনে উমনপুর হাইওয়ে ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন আজাদ খানের বাড়িতে লেচু চুরির ঘটনা ঘটায় আসামী উমর আলী (২২), পিতা- তাহের আলী; আসামী সোহেল আহমদ বারেক (২২), পিতা- সমসুর ইসলাম; আসামী ইউসুফ আলী (২২), পিতা- মৃত আব্দুর রহিম।

লেচু চুরির সালিশে আয়ানী জোরালো ভূমিকা রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসামী উমর আলী, সোহেল আহমদ ও ইউসুফ আলী।
এই পরিকল্পনায় সহযোগিতা করে তিন আসামীর পরিবার। ১৩ জুন রাতে রাস্তায় ডিআই পিকআপ দিয়ে আয়ানীর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে লোহার পাইপ/রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে আয়ানীর পরিবার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ডিআই পিকআপ গাড়িটি ঐ রাতেই হরিপুর এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে (২০১৮) ৯৮/১০৫ ধারায় মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য: গত ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) প্রাতিষ্ঠানিক কাজ শেষে রাত ১১টার পর হত্যাকাণ্ডের শিকার আয়ানী বাড়ি ফিরছিলেন মোটরসাইকেল যোগে।
এসময় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ৮নং কূপের সামনে ডিআই পিকআপ দিয়ে আয়ানীর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ