সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
বার্তা প্রেরক : নাইম তালুকদার (সুনামগঞ্জ)
মরণঘ্যাতি ইয়াবাসহ পাশাপাশি বাংলা মদ (চুলাই মদ) ও গাঁজায় ভাসছে দিরাই উপজেলা। অনায়াসে মিলছে রাস্তাঘাটে মাদক। মাদক ব্যবসা, মাদকসেবী আর জুয়াড়িদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন পল্লী অঞ্চল।
উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়নে মাদকের নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। গাঁজা বাংলা মদ ( চুলাই মদ) ইয়াবাসহ প্রায় সব ধরনের মাদক দ্রব্য মিলছে হাতের নাগালেই। বেশ কিছু নতুন মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসী।
আর পুলিশ প্রশাসনও এ ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে এলাকার সুশীল সমাজের অভিযোগ। যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। নামমাত্র কিছু মাদক সেবীদের ধরপাকড় করা হলেও পার পেয়ে যায় ( চুলাই মদ) কারবারিরা।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে মাদকের ভয়াবহতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ,উপজেলার চনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর বাজারস্থ অবাদে চলে মাদক কেনা-বেচা। মাঝে মাঝে দু একটি ধর পাকড় করলেও বন্ধ হচ্ছেনা সেবন ও বিক্রি। এছাড়াও উপজেলার কয়েকটি স্থানে চুলাই মদ ও গাঁজার রমরমা ব্যবসা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের এক মহিলা জানান, সন্ধ্যা হলেই আমাদের বাজারে মাদক সেবীদের আনাগোনা শুরু হয়। এদের অত্যাচারে বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না। পেরুয়া গ্রামের কালা কৃষ্ণ, সবুজ দাস, গাঁজা ও মদের ব্যবসা করে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, আমাদের সরমঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কানু কুমার তালুকদার চুলাই মদের ব্যবসা করে আসছেন। এছাড়াও রয়েছে তার মদদে বিভিন্ন চোলাই মদের প্রস্তুত কারী ঘরগুলো। রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল জানান, আমার ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামে চলছে মাদকের বিশাল ব্যবসা ও চুরি’র পাশা পাশি মদ গাজা ও হয় ক্রয় বিক্রয়। লোকমুখে শুনা যায় জাহানপুর গ্রামের উৎপাদিত মদ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরবাহ করা হয়। এখনকার মাদকের ঘাটিগুলো পরিচালনা করেন ডাকাত সরদার গোলাপ।
মাদক বিষয়ে চনারচর ইউপি চেয়ারম্যান পরিতোষ রায় বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রকদের কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা না থাকায় প্রকাশ্যে দিনের বেলা মাদকসেবীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আইন শৃংখলা মিটিংয়ে কতবার বলেছি। পুলিশের ভূমিকা না থাকায় আমি নিজেও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছি। দিনের বেলা শ্যকমারচর বাজার মাদক সেবন করে শত শত লোক ঘুরে বেড়ায়। দেখার কেউ নেই। পুলিশের ভূমিকা নিষ্ক্রিয় হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা পার পেয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্যামারচর বাজারের মাদক নিয়ন্ত্রণ কমিটির এক সদস্য জানান, মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের নাম তালিকা দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ কারণে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। নিজেদের নিরাপত্তার অভাবে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। অনেক সময় জেলা থেকে মাদক নিয়ন্ত্রকেরা মোটা অংকের টাকা নিয়ে অভিযান থেকে ছিটকে পড়েন। প্রতিমাসে মাশুয়ারা ও নেন তারা ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সঞ্জিত সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়, । নতুন এসেছি। খোজ নিয়ে দেখবো। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময় অব্যাহত থাকবে।
দিরাই থানা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ মাসেও আমার মাদক কারবারিদের মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় মাঠে আছেন পুলিশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- ০১৭১২ ১৭ ৪৭ ৯৬
ইমেইলঃ- newssylbangla@gmail.com
রংমহল টাওয়ার ৪র্থ তলা বন্দর বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D