বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫

বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, বিপর্যস্ত জনজীবন

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ নীলফামারীর সীমান্তবর্তী ডিমলার জনজীবন। ঘন কুয়াশা যেন অনেকটা বৃষ্টির মতো ঝরছে। ঠান্ডা বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়তই হচ্ছে তাপমাত্রার ছন্দপতন।

 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় ডিমলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার একই সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।জানা গেছে, তিস্তা নদী বেষ্টিত এ জেলায় মাঘ মাসের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বয়ো-বৃদ্ধ মানুষজন নিদারুণ কষ্টে দিন যাপন করছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষজন। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তিস্তার চরাঞ্চলের জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে দিনমজুর, শিশু, বয়স্ক ও ছিন্নমূল মানুষের।

এদিকে উপজেলা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়নের চরখরিবাড়ি গ্রামের দিনমজুর পলাশ ভাটিয়া বলেন, পরিবার নিয়ে এই শীতে কষ্টে আছি। কম্বলের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান বললো কম্বল নেই। যা পেয়েছিলাম সেগুলো বিতরণ শেষ।

গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ফুটানির হাট এলাকার অটোভ্যান চালক জুলহাস বলেন, যতই শীত আর কুয়াশা আসুক পেটের তাগিদে আমাদের ভ্যানগাড়ি নিয়ে বের হতে হয়। ঠান্ডায় মানুষ বের হচ্ছে না, তাই যাত্রী পাচ্ছি না।

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, শীতজনিত রোগে বহির্বিভাগে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া বলেন, এই শীতে উপজেলায় ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ ও এতিমখানার শিশুদের মাঝে ৬ হাজারের ঊর্ধ্বে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল সবুর কালবেলাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আরও কয়েকদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে