দোয়ারাবাজারে বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য টাকা নিতে গিয়ে ধরা খেলেন ইউপি সদস্য

প্রকাশিত: ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

দোয়ারাবাজারে বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য টাকা নিতে গিয়ে ধরা খেলেন ইউপি সদস্য

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন ফরাজী। খরচ ছাড়া সরকারি ভাতার কার্ড কোনো কার্ড দেন না তিনি। কার্ড করার জন্য নেন অগ্রিম টাকা এমন অভিযোগ ৫ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগীদের।মোশাররফ হোসেন ফরাজীর বিরুদ্ধে টিসিবি, ভিজিডি, বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীনসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও সরকারি অনুদান/সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। এক্ষেত্রে তিনি অগ্রিম টাকা নেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে মোটা টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য খরচের কথা বলে এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অগ্রিম চার হাজার টাকা নেন ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন ফরাজী। টাকা নেওয়ার সময় স্থানীয় জনতার হাতে ধরা খান তিনি। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা বাজারে ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে। এসময় আরো একাধিক ভুক্তিভোগী ও উত্তেজিক জনতার তোপের মুখে পড়েন তিনি। এঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে টাকা গ্রহণের বিষয়টি জনতার কাছে স্বীকার করতে দেখা গেছে তাকে। এসময় তিনি এসব টাকা ভুক্তভোগীদের নিকট ফেরত দেবেন বলেও জানান। এঘটনায় মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন ফরাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বয়স্ক ভাতার কার্ড দেব বলে চা খাওয়ার জন্য একজনের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলাম ওইসময় একটি অনাকাংখিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে টাকা ফেরত দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহের নিগার তনু বলেন, ‘ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন ফরাজীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।