করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মের হোতা সাহেদ ১০ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২০

করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মের হোতা সাহেদ ১০ দিনের রিমান্ডে

দিনরাত খবর ঃ রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে প্রতারণা মামলায় দশ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম উদদীনের আদালত এই আদেশ দেন। একই মামলায় এই প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে ফের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে তাদের আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত সাহেদ ও মাসুদকে দশ দিন এবং তারেককে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, করোনা টেস্ট না করে ফলাফল দেয়া, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গত ৬ জুলাই রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। এর একদিন পর ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। এরপর উত্তরা এবং মিরপুরে হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। সেই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদসহ নয়জনকে পলাতক হিসেবে এজাহারে দেখানো হয়েছিল। সেই মামলায় গত ৯ জুলাই সকালে সাহেদের সহযোগী তরিকুল ইসলাম তারেক শিবলীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার হন রিজেন্টের মালিক সাহেদ। এছাড়া গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কাপাসিয়ার একটি বাড়ি থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় হেলিকপ্টার থেকে নামানোর পর বুধবার এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে লবঙ্গবতী নদীর ইছামতিখাল দিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ২টা থেকে ওই এলাকসয় অভিযান শুরু করেন র‌্যাব সদস্যরা। কিন্তু সে ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করায় গ্রেপ্তার করতে একটু সময় লেগেছে।’

সাহেদ সম্পর্কে বুধবার সকালে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া ইউংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘তিনি (সাহেদ) ছদ্মবেশে বোরকা পরে নৌকা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল। আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেফতার করি। তার বাসা সাতক্ষীরায় কিন্তু তিনি তারই জেলায় ছদ্মবেশে বিভিন্ন যানবাহনে চলাফেলা করেছিলেন।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ