জগন্নাথপুরের প*র্নোগ্রা*ফী মামলার আসামী “ইমরান” বাহুবল থেকে গ্রে*প্তার

প্রকাশিত: ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫

জগন্নাথপুরের প*র্নোগ্রা*ফী মামলার আসামী “ইমরান” বাহুবল থেকে গ্রে*প্তার

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ


তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জগন্নাথপুরের পর্নোগ্রাফী মামলার আসামী ইমরান (২৫) কে বাহুবল থেকে গ্রেপ্তার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

পুলিশ, আদালত ও মামলা সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়ার দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জগন্নাথপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ১৫ ই ফেব্রুয়ারী রোজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলাধীন ফুটিজুরি বাজারস্থ বাশপাতা হোটেল থেকে জগন্নাথপুর থানার পর্নোগ্রাফী মামলার আসামী বাহুবল উপজেলার ফুটিজুরি ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত সুখচর গ্রাম নিবাসী আজিদ আলীর ছেলে ইমরান হাসান(২৫)কে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি একটি মোবাইল জব্দ করেন ( জগন্নাথপুর থানার মামলা নং -০৩, তাং-০৩/০২/২০২৫ ধারা- পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৮(১)(২)(৩)(৪)(৫)। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে ১৬ ই ফেব্রুয়ারী সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
এ ব্যাপারে মামলার অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রামের জনৈক শিক্ষার্থীর সাথে সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে সর্ম্পক গড়ে তুলে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত সুখচর গ্রামের বাসিন্দা আজিদ আলীর ছেলে ইমরান হাসান (২৫)। সম্পর্কের সুবাদে ওই শিক্ষার্থীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলে এবং আপত্তিকর ভিডিও ছবি স্কিন রেকর্ড করে আসছিল ইমরান হাসান। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা প্রবাসে থাকার সুবাদে আসামী ইমরান হাসান একপর্যায়ে ধারণকৃত ভিডিও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ঐ শিক্ষার্থী কাছ থেকে। কথা মতো টাকা না দিলেই বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে নিচ্ছিল আসামী ইমরান হাসান । একপর্যায়ে আসামী বেপরোয়া হয়ে ওই ভিডিও কলের স্কিনশর্ট ধারন করে তা ডিজিটাল কারসাজির মাধ্যমে পর্নোগ্রাফিতে রূপান্তর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। অবশেষে নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থী মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থীর চাচা একান্ত আলাপকালে বলেন , আমার বড় ভাই প্রবাসে থাকায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ইমরান হাসান আমার ভাতিজির সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্ক করে বিভিন্ন স্থান থেকে ছবি সংগ্রহ করে পরে ভিডিও কলে বাধ্য করে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রথমে আমার ভাতিজির কাছ থেকে টাকা নিলেও পরে ফেক আইডি খুলে ছবি পোষ্ট করবে বলে বড় অংকের টাকা দাবি করে। ভাতিজি টাকা না দেওয়ায় ফেসবুকের ফেক আইডি খুলে ছবি পোষ্ট করে। আমি আসামী ইমরান হাসান (২৫) এর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম একান্ত আলাপকালে বলেন , ১৫ ই ফেব্রুয়ারী শানিবার সন্ধার পর চাঞ্চল্যকর পর্নোগ্রাফি মামলার আসা‌মী ইমরান হাসান (২৫) কে ধর‌তে আমাদের অফিসার ইনচার্জ স্যার এর নির্দেশে বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে প্রযু‌ক্তি ব‌্যবহার ক‌রে আসামীকে তার বাড়ীর পাশে একটি বাজারে থে‌কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আসামীর কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এবং অ‌শ্লিল ভি‌ডি‌ও সহ ছ‌বি যা সামা‌জিক যো‌গা‌যোগ মাধ‌্যমে ব‌্যবহার করা হ‌য়ে‌ছিল তা পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, চাঞ্চল্যকর পর্নোগ্রাফী মামলার আসামী ইমরান হাসান(২৫) কে বাহুবল থানা এলাকা থেকে এসআই শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। তাকে ১৬ ই ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV