সিলেট ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
খাগড়াছড়ি. প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে পাওয়ার দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খাগড়াছড়ি জেলার উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
জামায়াতে ইসলামীর জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইউসুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জামায়াতে ইসলামীর খাগড়াছড়ি জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন। এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী, জাতীয় সংসদের ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনের জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান, জামায়াতের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আমীর ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ ইলিয়াছ, ইসলামী ছাত্রশিবির খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মোঃ মাঈন উদ্দিন।
বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সরকারের দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সরকার দলীয় লোকদের মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। যে সব সাক্ষীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে তাঁকে সাজা দেয়া হলো, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। একজন সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৭ কিমি দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। অপর সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৩ কিমি দূর থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। এ সব সাক্ষীর বক্তব্য থেকে বুঝা যায়, সরকার দলীয় এ সব লোকদের মিথ্যা সাক্ষ্য বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতারকৃত অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তিলাভ করেননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসন মুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশন আদালতের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধভাবে বাতিল করে। অনতিবিলম্বে জামায়াতের দলীয় প্রতীক সহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি এবং জামায়াতের দলীয় প্রতীক সহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া না হয় তাহলে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তাঁর প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায়। এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
বলা হয় বিশ্বের অমুসলিমসহ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র সমূহে ধর্মীয় রাজনীতি বৈধ। কিন্তু বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তার পিতার ন্যায় বাকশাল কায়েমের লক্ষ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদকারী হওয়ায় ও গঠনতন্ত্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা থাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে। জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন একদিনের জন্যও স্থগিত থাকতে পারে না। তাই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নিকট আমরা জামায়াতের নিবন্ধন অনতিবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এসময় জেলা ও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থীত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- 01712-174796
অনলাইন সম্পাদক : জাকারিয়া হোসেন জোসেফ
মোবাঃ- 01711-145909
ইমেইলঃ-newssylbangla@gmail.com
রংমহল টাওয়ার ৪র্থ তলা বন্দর বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D