প্রেমের জেরে সিলেট এমসি কলেজ তালামিয কর্মীকে হামলা ও মারধর

প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

প্রেমের জেরে সিলেট এমসি কলেজ তালামিয কর্মীকে হামলা ও মারধর

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্র মিজানুর রহমান রিয়াদ নামে এক তালামিয কর্মীর উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত ছাত্র সাথে পূর্বের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় রিয়াদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
রিয়াদের রুমমেট বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র পাভেল আহমদ জানান, রাতের খাবার শেষে তারা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় দরজায় সামনে প্রচণ্ড চেচামেচির শব্দ পান। দরজা খুলে কয়েকজন অপরিচিত কয়েকজন যুবক দাড়ানো অবস্থা তাদের কে জিজ্ঞেস করেন,আপনারা কাকে খুজেছেন,যুবকের জবাব দেন,এই রুমে কি রিয়াদ নামে একজন ছাত্র থাকেন,যখন হ্যা বলে পাভেল জবাব দেন, সাথে সাথে একজন ব্যক্তির নেতৃত্বে ১০-১২জন যুবক রুমে ঢুকে রিয়াদকে লাথি দিয়ে বিছানা থেকে নিচে ফেলেন।

হামলাকারীরা রিয়াদকে জিজ্ঞেস করেন- তুই প্রপম করতে চাস,হোটেলে থাকতে চাস,বাজে ভাবে গালাগালি করার পরে সবাই, লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে পাশের রুম থেকে রড নিয়ে রুমে প্রবেশ করেন আরো কয়েকজন যুবক । রিয়াদের রুমমেট সাগর এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে রুমের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। দরজা লাগিয়ে রড দিয়ে বেধড়ক পিঠানো হয় রিয়াদকে।

এক পর্যায়ে শিবিরের কয়েকজন কর্মী এগিয়ে আসতে চাইলে – তারা তাদের কে চিহ্নিত করার জন্য দুইজন যুবক বলেন,তুই সরে যা,সে আমার বোন কে বারবার মেসেজ করে খারাপ ভিডিও পাঠায়। এই বলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়াদের মারধর করার চেষ্টা করে।। এসময় রুমের বাইরে থাকা নুরআহমেদ চিৎকারের ছাত্রাবাসের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও কর্মচারী জড়ো হন। পরে শিবিরের নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত করেছে বলে তার সহপাঠি ও রিয়াদ সবাইকে বলে।
যুবকরা যাওয়ার সময় ১০১ নং রুমে তালা দিয়ে চলে যান।

রিয়াদের সহপাঠীরা জানান- সে প্রায় সময় গভীর রাতে রুমে আসতো এবং সারারাত ফোনে কথা বলতো,তার ফোনের জন্য ঘুমাতে ডিস্টার্ব হতো।এরপরই তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV