জগন্নাথপুরে ক্ষিড়া বিক্রি জমজমাট, যদিও বেশী দাম

প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২৫

জগন্নাথপুরে ক্ষিড়া বিক্রি জমজমাট, যদিও বেশী দাম

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

 

জগন্নাথপুরের হাট বাজারে ক্ষিড়া বিক্রি জমজমাট ভাবে চলছে। ক্ষিড়ার বড়ামৌসুমে চলতি রমজান মাসকে পূঁজি করে বিক্রেতারা দিগুন মূল্যে ক্ষিড়া বিক্রি করছেন। দর-কষাকষি করে ক্রেতাদের ক্ষিড়া ক্রয় করতে দেখা গেছে। দরকষাকষি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতেও দেখা গেছে।
সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় ক্ষিড়া চাষাবাদ তেমন একটা করা হয়নি। যাও সবজির পাশা-পাশি ৩০/৩৫ একর জমিতে চলতি মৌসুমে ক্রিড়া চাষাবাদ করেছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন কৃষক। তা রমজান এর শুরুতেই অর্থাৎ প্রথম সপ্তাহের দিকে ক্ষিড়ার ফলন শেষ হয়ে গেছে। তবে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, সিলেটের বিশ্বনাথ ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা এলাকা থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ক্ষিড়া এনে অধিক মূল্যে বিক্রি করছেন। এনিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতন্ডা হতে দেখা গেছে। ১৭ই মার্চ রোজ সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার, কলকলিয়া বাজার, কেশবপুর বাজার, চিলাউড়া বাজার,মীরপুর বাজার, শ্রীরামসি বাজার ও রসুলগঞ্জ বাজার সহ প্রত্যেকটি হাট-বাজারে বড়ামৌসুমে চলতি রমজান মাসে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি ক্ষিড়া ৩০/৪০ টাকা মূল্যে ক্রয় -বিক্রয় হচ্ছে। অথচ এই ক্ষিড়া বর্তমান সময়ে (রোজা ব্যাতীত) ১০/১৫ টকা মূল্যে প্রতি কেজি ক্ষিড়া বিক্রি হওয়ার কথা।
এ ব্যাপারে একান্ত আলাপকালে ক্ষিড়া ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন, হুসিয়ার ও তালেব সহ একাধিক ক্ষিড়া ব্যবসায়ী তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় তেমন ক্ষিড়া চাষ হয়নি। যা চাষ হয়েছিল এবং ভাল ফলন হলেও রোজার আগে ফলন শেষ হয়ে গেছে। আমরা পার্শ্ববর্তী ছাতক, বিশ্বনাথ ও নবীগঞ্জ উপজেলা এলাকা থেকে ক্ষিড়া এনে বিক্রি করছি। বেচা-বিক্রি ভালোই হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, চলমান রমজান মাসকে পূঁজি করে পাইকারী বিক্রেতারা অধিক মূল্যে ক্ষিড়া বিক্রি করছেন। পাইকারী বাজারে ক্ষিড়ার মূল্য বেশী থাকায় আমরা বেশী মূল্যে বিক্রি করছি। পাইকারী বাজারে ক্ষিড়ার মূল্য কম হলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব।
এ ব্যাপারে বাজারে আসা ক্রেতা নুর মিয়া, কাদির, সুমেল ও রাজিব সহ একাধিক ক্রেতা তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, চলতি রমজান মাসকে পূঁজি করে ব্যবসায়ীরা ক্ষিড়ার মূল্য বেশী নিচ্ছেন। আমরাও নিতে বাধ্য হচ্ছি। কেননা সারাদিন রোজা রেখে দিন শেষে ইফতার এর সময় অন্যান্য ফলাফল এর চেয়ে ক্ষিড়া খেতে ভালো লাগে। তৃপ্তি পাওয়া যায়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV