অমৃত জ্যোতি(ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ)
বৈশ্যিক করোনা(কোভিড১৯)এর মহামারিতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিলও যোগ দিচ্ছে।
অন্য দিকে অর্থনীতিতে যেমন ধ্বস নেমেছে, ঠিক পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রী দের “শিক্ষা” অর্জনে প্রচন্ড ঝড়ে পড়ার আসংখ্যাও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ক্ষেটে খাওয়া কৃষক,শ্রমিক,দিন মজুর ও মধ্যম শ্রেণীর পরিবারের ছেলে মেয়েদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার ফল প্রকাশের পরপরেই কলেজেও বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে চলতো ব্যাপক মনোহরী ভাবনা ও প্রস্তুতি।
তবে এবার সব রকমের কল্পনাশক্তি বিনাশ করোলো এক অশুভ শক্তির ভাইরাস “”করোনা””নামক ভয়ংকরী বিষধরী কাল।
গ্রামাঞ্চলের কৃষকের মুখ থেকে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে
সপ্নময় ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার পিছনে প্রচুর কষ্ট করে মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক কে লেখা পড়া চলছে, এর মধ্যে কারো রেজাল্ট ভালো করেছে,কেহ পরিক্ষার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছে।
আবার অনেকের মনে কথা এবার ফসল ফলেছে বেশ ভাল,ভেবেছিলাম ছেলে মেয়ের বিয়ে ধুমধামে সেরে নেব।
কিন্তু দুঃখের বিষয় সব কিছু ভেস্তে গিয়ে, দুঃশ্চিন্তা হল লেখা পড়া নিয়ে ছাত্র ছাত্রী সহ পরিবার পরিচালকগনের।
এরি মধ্যে হাওরের ভাসমান পানিতে মাছ ধরতে নৌকা, বাই,জাল ফেলে কেহ করোনা সংকটাপন্ত অবস্থায় পারিবারিক অার্থিক প্রয়োজন মেটাতে উপর্জনে লাগছে।
আবার কারো চিন্তায় লেখা পড়া যেহেতু নষ্টের সম্ভবাবনায় প্রায় বছরে কাছাকাছি সময় পার হতে যাচ্ছে সেহেতু এবার ছেলে মেয়েদের বিয়ে পরিয়ে পারিবারিক বোঝাটা মাথায় ধরিয়ে দেই।

করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব এভবে চলতে থাকলে বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরাই লেখা পড়ায় অমনোযোগী হয়ে, ঝড়ে পড়তে পারে ভাটি অঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া এমনটাই ধারনা করছেন সচেতন মহলের বেশ কিছু মানুষ।
তার মধ্যে ৩য় বারের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগে কবলে পড়ছে সুনামগঞ্জ জেলা।