ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ডা. মঈনের পরিবার

প্রকাশিত: ২:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২০

ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন  ডা. মঈনের পরিবার

দিনরাত সংবাদ ঃ করোনায় আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত থেকে এই ভাইরাসেই আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে প্রথম ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের পরিবার।

বুধবার (২৯ জুলাই) ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকা মঞ্জুরির চিঠি হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডা. মঈন উদ্দিনের স্ত্রী ডা.চৌধুরী রিফাত জাহান। তবে টাকা হাতে পেতে আরও কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রথম আবেদন করেন মঈন উদ্দীনের স্ত্রী ডা. চৌধুরী রিফাত জাহান। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন বলে চৌধুরী রিফাত জাহানের আবেদনপত্রে সুপারিশ করেন এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মো.ময়নুল হক। ডা. মঈন উদ্দিন ছিলেন পঞ্চম গ্রেডের সরকারি কর্মচারী।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সোমবার (২৭ জুলাই) এই টাকা দিতে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগেরই প্রধান হিসাব কর্মকর্তার কাছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় সরাসরি কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে গত ২৩ এপ্রিল অর্থ বিভাগ যে পরিপত্র জারি করে, সেটি অনুসরণ করে এই ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে।
ওই পরিপত্রে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি চাকরিজীবী যারা নিজেরা আক্রান্ত হবেন বা মারা যাবেন, তাদের জন্য গ্রেড অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এই পরিমাণ ৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে ৫ লাখ টাকা ও মারা গেলে ২৫ লাখ টাকা, ১০ থেকে ১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও মারা গেলে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১ থেকে ৯ম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে ১০ লাখ টাকা এবং মারা গেলে ৫০ লাখ টাকা পাবেন।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি বাবদ ক্ষতিপূরণের জন্য বিশেষ অনুদান’ খাতে ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দও রাখা রয়েছে। ওই তহবিল থেকেই এ ব্যয় মেটানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মঈন উদ্দীনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। অবস্থার অবনতি ঘটলে ৭ এপ্রিল তাকে সিলেট নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন গত ১৫ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যা

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ