সিলেট ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২০
১. হযরত কাতাদাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরাফার দিনের রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাবে বললেন- صِيَامُ يَوْمِ عَرفَةَ اَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ اَنْ يُّكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِىْ قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِىْ بَعْدَه অর্থাৎ ‘আমি আল্লাহর সত্তা থেকে এ আশা রাখি যে, এতে বিগত বছর ও আগামী বছরের গুনাহর কাফফারা হয়ে যাবে।’ (মুসলিম, তিরমিজি, মিশকাত)
২. উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আরাফার দিনের রোজার ছওয়াব এক হাজার দিন রোজা রাখার সমান। (তারগিব)
৩.হাদিসে বর্ণিত যে, আরাফাতের দিনের চেয়ে আর কোনো দিন এমন নেই যেদিন আল্লাহ বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে সর্বাধিক সংখ্যায় মুক্তি দেন; তিনি সেদিন নিকটবর্তী হন অতঃপর তিনি তাঁর ফেরেশতাদের সাথে গর্ব প্রকাশ করেন এবং বলেন, তারা কী চায়? (মুসলিম)।
হাদীসে আরাফার রোজার কথা এসেছে, জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখের কথা আসেনি। তাই কিছু আলেম সাউদী আরবে হাজীরা যেইদিনে আরাফার মাঠে অবস্থান করবেন,সেই দিনেই এ রোজা রাখা উচিত বলে মত প্রকাশ করেছেন। কারণ, আরাফাহ ছাড়া অন্য কোন রোজা স্থানের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
আবার অন্য আলেমদের মতে, রমযান ও ঈদের মতো আরাফার রোযাও নিজ নিজ দেশের চাঁদের উপর নির্ভর করে রাখতে হবে, এটা শায়খ ইবনে উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহর ফতোয়া।
যাই হোক, আলেমদের মতবিরোধ বা সন্দেহের মাঝে না গিয়ে, উত্তম হচ্ছে সউদী আরব ও বাংলাদেশের দুই দিনের হিসাবেই দুইটি রোযা রেখে ফেলা। এতে কোন ক্ষতি নেই, বরং যিলহজ্জ মাসের ১ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সবগুলো দিনেই রোজা রাখতে পারেন, এটা সুন্নাত এবং অনেক সওয়াবের ইবাদত। এই দশ দিনের যেকোন ইবাদত আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও বেশি মর্যাদার।
আরাফার দিনে একটি মাত্র রোজা রাখলে যদি দুই বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়, তাহলে এই সুযোগ মিস করা কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ হবে?
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- 01712-174796
অনলাইন সম্পাদক : জাকারিয়া হোসেন জোসেফ
মোবাঃ- 01711-145909
ইমেইলঃ-newssylbangla@gmail.com
এক্সেল টাওয়ার ২য় তলা সুবিদ বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D