চীনা সশস্ত্রবাহিনী বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

প্রকাশিত: ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২০

চীনা সশস্ত্রবাহিনী বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

চিনা গণমুক্তি ফৌজ প্রতিষ্ঠার ৯৩তম বার্ষিকী ১আগস্ট । বিগত ৯৩ বছর ধরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র নেতৃত্বে চীনা সশস্ত্রবাহিনী জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায়, জনগণের মুক্তি অর্জনে, ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীন গঠনে অসামান্য ভূমিকা রেখে এসেছে। চীনা সশস্ত্রবাহিনী বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। চীনা সশস্ত্রবাহিনী হচ্ছে দেশ, জনতা ও শান্তি রক্ষার দৃঢ় শক্তি।

চীনা বাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জনগণের বাহিনী। জনগণকে আন্তরিকভাবে সেবা করা এই সেনাবাহিনীর মূল উদ্দেশ্য। চীনের শীর্ষ নেতা সি চিন পিং সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠার নব্বইতম বার্ষিকী উপলক্ষে উল্লেখ করেছিলেন, জনগণের সেনাবাহিনীর কর্তব্য হল জনগণকে মাথায় রাখা, দৃঢ়ভাবে জনগণের জানমাল রক্ষা করা, সর্বদা জনগণের স্বার্থের রক্ষক হওয়া, এবং জনগণের সুবিধার্থে ব্যবহারিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

বিগত ৯৩ বছরে, চীনা সামরিক বাহিনী তার আসল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যটি কখনও ভুলে যায়নি। তারা চীনা জনগণের দৃঢ় ও শক্তিশালী সুরক্ষকে পরিণত হয়েছে। এই বছরের শুরুতে, হঠাৎ কোভিড-১৯ মহামারী আঘাত হানলে, চীনা সামরিক বাহিনী সামনে এগিয়ে আসে এবং দ্রুততম সময়ে উহানে কার্যক্রম শুরু করে। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা বাহিনী চার হাজারেরও বেশি চিকিত্সা-কর্মী পাঠায় উহানে। বস্তুত, যেখানে বিপদ, সেখানেই চীনা সশস্ত্রবাহিনী।

চীনা সেনাবাহিনী তার মূল আকাঙ্ক্ষা ও মিশন মাথায় রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে থাকবে। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় ও মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থ গড়ে তোলায় আরও বেশি অবদানও রাখবে চীনা সশস্ত্রবাহিনী।