সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২০
ভারত সীমান্তে জঙ্গি বিমান দ্বিগুণ করেছে চীনা সামরিক বাহিনী
ভারতের বিরোধপূর্ণ উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে চীন তার জঙ্গি বিমানের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে বলে আমেরিকান বিশ্লেষকেরা বলেছেন।
গত ২৮ জুলাই চীন ভারতের লাদাখ সীমান্তের কাছে তার জিনজিয়াং অঞ্চলের হটান বিমান ঘাঁটিতে ৩৬টি বিমান ও হেলিকপ্টার মোতায়েন রেখেছিল। ইউএ এয়ার ফোর্সের চায়না অ্যারোস্পেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের হিসাবে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এসব বিমানের মধ্যে ছিল ২৪টি রুশ-ডিজাইনে নির্মিত জে-১১ বা জে-১৬ ফ্লানকার জঙ্গি বিমান। এছাড়া এখন সেখানে ছয়টি আরো পুরনো জে-৮ জঙ্গিবিমান, দুটি ওয়াই-৮জি পরিবহান বিমান, দুটি কেজে-৫০০ বিমানবাহী আগাম সতর্কতা বিমান, দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ও কয়েকটি সিএইচ-৪ স্ট্রাইক/রিকনসাসনেন্স ড্রোন রয়েছে।
ভারত ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত সঙ্ঘাতের আগে ওই এলাকায় চীনা বিমান বাহিনীর মাত্র ১২টি ফ্লানকার বিমান মোতায়েন ছিল। আর কোনো সাপোর্ট বিমান ছিল না। সিএএসআই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সেন্টিনেল-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই হিসাব উপস্থাপন করেছে।
ছবি অনুযায়ী, বিমানগুলো যুদ্ধের জন্যই প্রস্তুত রাখা হয়েছে, প্রদর্শনীর জন্য নয়,
অবশ্য, লাদাখে চীনা বিমান শক্তি মূলত আত্মরক্ষামূলক অবস্থানেই রয়েছে। তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলা থেকে তাদের স্থল সৈন্যদের রক্ষার মিশনকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে চীনা বিমানগুলো ভারতীয় বিমানশক্তিকে দমন করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে। চীন যেভাবে তাদের বিমানগুলোকে মোতায়েন করেছে, তাতে মনে হয় না তারা ভারতীয় সৈন্য, তাদের সরবরাহ রেখা বা অবকাঠামোতে হামলা করার কোনো পরিকল্পনা করছে।
অবশ্য ভারতও তাদের বিমান শক্তি বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি ভারত ফ্রান্স থেকে ৫টি রাফাল জঙ্গি বিমান সংগ্রহ করেছে। তাছাড়া তাদের হাতে আছে আধুনিক মিগ-২৯ কে জঙ্গি বিমান। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাফাল বিমান চীনা বিমানগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। চীনের জে-২০ বিমান কোনোভাবেই রাফালের মোকাবেলা করতে পারবে না।
দুই দেশের বিরোধপূর্ণ লাদাখের বাইরেই উভয় দেশ তাদের বিমানগুলো মোতায়েন রেখেছে। তবে লাদাখে এগুলো সহজেই প্রবেশ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে চীনের চেয়ে ভারত কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। লাদাখ থেকে চীনের সবচেয়ে কাছের বিমান ঘাঁটিটি কাশগড়ে অবস্থিত, সেটি ৩৫০ মাইল দূরে। আর জিনজিয়াং ও তিব্বতের বিমান ঘাঁটিগুলো
৬০০ মাইল দূরে।
#DOW
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- ০১৭১২ ১৭ ৪৭ ৯৬
ইমেইলঃ- newssylbangla@gmail.com
রংমহল টাওয়ার ৪র্থ তলা বন্দর বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D