ইসরেয়েলকে আরবেরা আর ভয় পাচ্ছে না,

প্রকাশিত: ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২০

ইসরেয়েলকে আরবেরা আর ভয় পাচ্ছে না,

১৯৪৮ সালে, ১২টি আরব দেশ যুদ্ধ করেছিলো নব গঠিত ইসরায়েলের বিপক্ষে; জয়ী হতে পারেনি; জয়ী হলে, আমেরিকা ও ইংল্যান্ড আরবদের বিপক্ষে সরাসরি যুদ্ধে নামতো; ইসরায়েল থেকেই যেতো। কিন্তু হয়তো; প্যালেষ্টাইন দেশ হতো, বৃটিশ প্যালেষ্টাইনীদের ২য় চান্স দিতো। আজকে ইসরায়েল আছে, প্যালেষ্টাইন নেই; আরবদেশগুলো ক্রমেই প্যালেষ্টাইন সংগ্রাম থেকে সরে যাচ্ছে; আর কতকাল? তারা ভবিষ্যত দেখছে না, দীর্ঘসুত্রতা করে ইসরায়েল কি আরবদের ক্লান্ত করে দিচ্ছে, নাকি “সব কিছুতে প্যালেষ্টাইনের না না” আরবদের হতাশ করছে? আরবদের উৎসাহ কমার সাথে সাথে ইরানীদের তৎপারতা আরও বেড়ে চলছে প্যােলষ্টাইনে; ইহাও আরবদের জন্য কোন ফ্যাক্টর?

ঠিক আজকের বিশ্ব পরিস্হিতিতে, ইসারায়েল ও প্যালেষ্টাইন অথারিটি (পিএলও ও হামাস) যেই অবস্হানে আছে, প্যালেষ্টাইন হবে না; প্যালেষ্টাইন হওয়ার জন্য ইসরায়েল এখন কোন ছাড় দেবে না; তা’হলে, ছাড় কে দেবে, আরবরা, কিংবা শুধু মাত্র প্যালেষ্টাইনীরা? আরবরা অনেক ছাড় দিয়ে প্যালেষ্টাইন পাবার পক্ষ ছিলো সব সময়; কিন্তু হামাস কোন ছাড়ই দেবে না।

ইসরায়েলের চর সব আরব দেশে আছে, এসব চরেরা ক্ষমতার বেশ কাকাছাকাছি অবস্হানে থাকতে পারে; কিন্তু ইসরায়েলের তৈরি কোন “মিলিশিয়া বাহিনী” কোন দেশে নেই। আজকে, প্রতিটি আরব দেশে ইরানের “শিয়া মিলিশিয়া” আছে; শিয়া মিলিশিয়ারা সিরিয়া ও ইয়েমেনকে প্যালেষ্টাইন বানায়ে ছেড়েছে; লেবাননের আসল সরকার কি ভোটে নিযুক্ত সরকার, নাকি হিজবুল্লাহ? সরকার বদলায়, কিন্তু হিজবুল্লাহ বদলায় না।

এখন আমিরাত, ফামিরাত, ওমান, টোমান, ইসারায়েলকে ভয় পাচ্ছে না; ইসরায়েলের সাথে বসে নেগোশিয়েট করতে পারে এরা; কিন্তু শিয়া মিলিশিয়ার ব্যাপারে ইরানের সাথে কোন নেগোশিয়েশন করতে পারে না; কারণ, শিয়া মিলিশিয়ার কথা ইরান স্বীকার করে না; সর্বোপরি, এসব শিয়া মিলিশিয়ারা স্হানীয় আরব, যা বিদেশী বাহিনী থেকে ভয়ংকর।

আহমেদী নেজাদ চেয়েছিলো, বোমা বানাতে পারলে, ১ম বোমাটা ফেলবে ইসরায়েলে; সৌদীতে বোমা ফেলার কথা বলেনি; কিন্তু ইরানী বোমার ভয়ে সৌদী বেশী কাতর, ইসরায়েলীরা অত নয়। ইরানকে যদি উ: কোরিয়া ২টি বোমা ও টেকনোলোজী দেয়, তারা কি উহা ইসরায়েলে ফেলবে? না, ইরান বোমা ফেলার পজিশনে নেই; আসলে, ইরানকে ইসরায়েলের থেকে এখন আরবেরাই বেশী ভয় পাচ্ছে।

আমিরাত আজীবন পিএলও’কে সাহায্য করেছে, রিফিউজীদের সাহায্য করেছে; এখন উহা থেকে সরে গেলো গত সপ্তাহে। মিশর, জর্ডানের পরে, আমিরাত ইসরায়েলের সাথে চুক্তিতে গেলো; বাকী আরবেরাও ক্রমেই এই পথে আসার সম্ভাবনা। সব আরবেরা সরে গেলে, প্যালেষ্টানীরা কিছু একটা করতে বাধ্য হতো; কিন্তু সেই পথে বাধা হয়ে থাকবে ইরান; ইরান প্যালেষ্টাইনকে দেশে পরিণত করার চেয়ে ৫ জন ইহুদী হত্যায় বেশী উৎসাহী হবে সব সময়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ