কেনাকাটায় অনিয়ম,অধ্যক্ষ সুফিয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২০

কেনাকাটায় অনিয়ম,অধ্যক্ষ সুফিয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবু সুফিয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার ঢাকার আদালতে এসব মামলা দায়ের হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান বাদী হয়ে একটি এবং উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের ফেসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

দুটি মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঢাকার মোহাম্মদপুরের নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলী এবং ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী এসএম নজরুল ইসলাম নতুন।

দুই মামলাতেই শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবু সুফিয়ানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

দুদকের ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবু সুফিয়ান এবং নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তায় অন্যায়ভাবে অর্থ লাভের জন্য প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে উচ্চ মূল্য দেখিয়ে বইপত্র কিনেছেন।

এভাবে তারা সরকারের ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ১২১ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাত করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তায় অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে উচ্চ মূল্য দেখিয়ে যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছেন।

এভাবে তারা সরকারের দুই কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭০০ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মো. আবু জাহিরের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি কলেজটি অনুমোদন পায়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে কলেজটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।-যুগান্তর

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ