আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী দলের ২ সদস্য আটক

প্রকাশিত: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০

আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী দলের ২ সদস্য আটক

দিনরাত প্রতিবেদক :: সিলেটে আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী দলের দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোররাতে ছিনতাইকৃত টাকা-মোবাইল এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দেশিয় অস্ত্রসহ এই দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ জানায়, পুলিশ ও স্থানীয় জানা গেছে, আটককৃত দু’জনই আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী দলের মূল গডফাদার।

আটককৃতরা হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা (স্বর্ণালী-৬০)-এর মৃত সোয়াব মিয়ার ছেলে মির্জা জনি আহমদ (৩৫) ও এসএমপি’র শাহপরাণ থানাধীন টিলাগড় রাজপাড়া (সুরভী-১৮/২)-এর এডভোকেট আনসার উদ্দিনের ছোটভাই আসাদুজ্জামান যুবায়ের (৩৬), পিতা: অজ্ঞাত। যুবায়েরের মূল বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট থানার দর্জিমাটি গ্রামে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা জানান, গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরের ধোপাদিঘীরপাড়স্থ হাফিজ কমপ্লেক্সের সামনে থেকে চাকু দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং লোহার রড দিয়ে  আঘাত করে আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আবু সুফিয়ানের কাছ থেকে ২১ হাজার ৫০০ টাকা ও তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় দুইজন ছিনতাইকারী।

খবর পেয়ে পুলিশ এই ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার ও ছিনতাইকারীদের ধরতে তৎপর হয়। অবশেষে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নির্দেশনায় সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোররাত সাড়ে ৩টার দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকা থেকে মির্জা জনি আহমদ ও ভোর ৫টায় টিলাগড় এলাকা থেকে আসাদুজ্জামান যুবায়েরকে আটক করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি লাল-কালো-সাদা রংয়ের হিরো হোন্ডা মোটর সাইকেল (রেজি: নং- সিলেট-ল-১১-১৮৫৭),  ধারালো চাকু ও কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে পুলিশ। আটক  মির্জা জনি আহমদের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

সরেজমিনে জানা গেছে, গত রমজান মাসের শেষ সপ্তাহে ছিনতাইকারী যুবায়ের কানাইঘাট উপজেলার দর্জি মাটি গ্রামের এডভোকেট আনসারের বাড়িতে একটি মোটর সাইকেল সহ এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপন আদায়ের চেষ্টা করলে ঐ যুবকের আত্ন-চিৎকার শুনে গ্রামবাসি পুলিশকে খবর দেয়। কানাইঘাট থানা পুলিশ আসার খবর পেয়ে সটকে পড়ে ঐ দুই ছিনতাইকারী।

এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলার একটি পেট্রোল পাম্প থেকে টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় জড়িত রয়েছে ঐ দু’জন। আটকৃত যুবায়ের কানাইঘাট উপজেলার দর্জিমাটি গ্রামের এডভোকেট আনসারের ছোটভাই।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন পর পর দর্জিমাটিস্থ ছিনতােইকারী যুবায়েরের ঐ বাড়িতে নগরীর কুখ্যাত আমোদ প্রিয়দের আড্ডা বসে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন লোকের আর্তনাদ শোনা যায়। গ্রামবাসি ভয়ে এর প্রতিবাদ করলে নেমে আসে মামলা-হামলা ও ছিনতাইয়ের খড়গ।

এদিকে, এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মো. আবু সুফিয়ান বাদি হয়ে আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার ভিত্তিতে মির্জা জনি আহমদ ও আসাদুজ্জামান যুবায়েরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ