দিরাইয়ে মৃত ব্যক্তিকে অলৌকিক ভাবে বাচিয়ে রাখলেন চেয়ারম্যান -এলাকায় গুঞ্জন

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২০

দিরাইয়ে মৃত ব্যক্তিকে অলৌকিক ভাবে বাচিয়ে রাখলেন চেয়ারম্যান -এলাকায় গুঞ্জন

সুনামগঞ্জ থেকে বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জ দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউপির শালিয়ার গাও মৌজাস্থিত হাওড়ের বন্ধের কুড় ও ডাকবান” নামক জলমহাল নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে শালিয়ারগাও মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি সুবোধ বিশ্বাস কতৃক দায়েরকৃত, ০৭/০৬/২০ইংঅভিযোগ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালতে আপিল মামলা নং ০১/২০২০ইং চলাকালে বরইতিয়র মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক আজির উদ্দিন একটি মৃত্যু সনদ দাখিল করেন। মৃত্যু সনদকারী ব্যক্তির নাম মরহুম আব্দুল মন্নান,পিতা মৃত আব্দুল আহাদ, গ্রামঃবরইতিয়র,তাহার মৃত্যু তারিখ ২০/০২/২০২০ইং উল্লেখ করে ০৯ নং কুলঞ্জ ইউ,পি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান এবং ০৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আছাদ চৌধুরীর যুক্ত স্বাক্ষরিত স্বারকবিহীন সনদটি উক্ত সমিতিকে প্রদান করেন।তা জেনে শুনানীকালে এর বিপরীতে অভিযোগকারী সুবোধ বিশ্বাস, সভাপতি, শালিয়ারগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পক্ষে মৃত আব্দুল মন্নানের নিজ ঘরের দেয়ালে টাংগানো একটি মৃত্যু স্মরণিকার ফটো কপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করেন। তাতে আব্দুল মন্নানের মৃত্যু তারিখ ১৮/০২/২০১৮ইং লিখা আছে। তারই ধারাবাহিকতায় মামলার বাদী সুবোধ বিশ্বাস জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে মেম্বার এবং চেয়ারম্যান এর দেওয়া মৃত্যু সনদকে জাল বলে দাবী করে দঃবিঃ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৩৪ ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন,যার মোকদ্দমা নং সি আর ৬৫/২০২০ইং। অভিযোগকারী সুবোধ বিশ্বাসের দাবী মেম্বার আছাদ চৌধুরী ও চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আজির উদ্দিন এই সনদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করেছেন। যার জন্য আজির উদ্দিন,( সম্পাদক ,)বরইতিয়র মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ । আছাদ চৌধুরী( মেম্বার) ৫ নং ওয়ার্ড ,কুলঞ্জ, মোঃ মুজিবুর রহমান ( চেয়ারম্যান ) কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ। এদের বিরুদ্বে মামলা দায়ের করেছেন। আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর জানায়ায় অংশ নেওয়া বরইতিয়র পুরাতন গ্রামের মসজিদে ঈমাম আবু মুসার সাথে মোটুফোনে কথা হলে বলেন দুই বছরের কম হবে না এই জানাজায় অংশ নিয়েছি। সচেতন এক প্রবাসীর সাথে আলাপ কালে এই প্রতিনিধিকে বলেন আট মাস হল দেশে আসলাম আর দুই মাস হয় মান্নান সাহেব মারা গেলেন এটা অবাক করার কথা। বিদেশ থাকতেই শুনেছি উনি মারা গেছেন। এলাকার বিশিষ্ট এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বলেন মানুষ এখন মৃত মানুষকে নিয়াও খেলা করে টাকার দান্ধায়। আজিজুর রহমান নামে যুবলীগের এলাকার এক নেতা বলেন মৃত্যুর পর মানুষের মৃত্যুর তারিখ নিয়ে যারা ব্যবসায়ী চিন্তা করে তারা কি চরিত্রের তা আর বলার ভাষা রাখে না। তবে আমার জানা মতে উনি ৬ ফাল্গন ১৪২৪ বাংলা সনে মৃত্যু বরন করেছেন বলেই জানি, চেয়ারম্যান মেম্বার অলৌকিক ভাবে উনাকে বাচিয়ে রাখলেন কিভাবে আমার বোধগম্য নয়। সেই ব্যাপারে এই প্রতিনিধি মৃত আব্দুল মান্নান এর ছেলে রুবেল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে উনি বলেন আমি বর্তমানে সমিতিতে আছি তাই আমার বাবার মৃত্যু সম্পর্কে কিছুই বলতে পারব না, আপনারা জানতে হলে বাড়িতে এসে জানুন,আমি সমিতির সদস্য আমার মন যা চায় আমি এই ভাবেই কাজ করব, আমি সমিতির লোক। আবারও ফোন দিলে প্রতিনিধির সাথে রুবেলের ভাই বলে কথা বলেন জুবেল, উনিও একই কথা বলেন যে মৃত্যু তারিখ জানতে হলে বাড়িতে আসতে হবে মোবাইলে আপনাকে বলব না। এই ব্যাপারে আছাদ মেম্বার বলেন আমি জেনে শুনে বুঝেই এই ব্যক্তির মৃত্যুর সনদ দিয়েছি এতে আমার কোন সুবিধা ভোগের সুযোগ নাই । এ প্রতিবেদক বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানকে কল দিলে বলেন অনেক সময় মেম্বাররা তাড়াহুড়া করেন এবং ক্লান্ত থাকায় সেই দিন আমি মেম্বারের সিল সাক্ষর দেখেই সাইন দিয়ে দেই । সরল বিশ্বাসে সেই দিন আমি এই সাইন দিয়েছিলাম, বাকীটা মেম্বার বলতে  পারবেন। এই ব্যপারে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশারাফুল ইসলাম বলেন এই “হাওড়ের বন্দের কুড় ও ডাকবান নামক জলমহাল সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র এখনো পাইনি , সরকার যে কোন তদন্ত্বের দ্বায়িত্ব দিলে তা যতাযত দ্বায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট আছি।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ