মালয়েশিয়ার আল বুখারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২০

মালয়েশিয়ার আল বুখারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হলেন ড. ইউনূস

দিনরাত সংবাদ: গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা,নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার আলবুখারি আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটির (এআইইউ) প্রথম চ্যান্সেলর নিযুক্ত হয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েরও চ্যান্সেলর তিনি। ইউনূস সেন্টারের এই চেয়ারম্যান বিশ্বস্বীকৃতি সামাজিক বাণিজ্য ধারণার প্রতিষ্ঠাতা। অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার। এসব জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আলবুখারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, অর্থনৈতিক আন্দোলন ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের প্রবক্তা ড. ইউনূস। তার প্রচেষ্টায় বিশ্বের লাখ লাখ পরিবার দারিদ্র জয় করেছে।

বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪ লাখ সদস্য রয়েছে, যার ৯৭ শতাংশ নারী। গ্রাহকদের মাঝে এ পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি ৫০০ লাখ মার্কিন ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক সম্মাননা প্রেসিডেন্সিয়াল সিটিজেন মেডেল,দি প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং দি কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ড. ইউনূস।

ক্ষুদ্রঋণ এবং সামাজিক বাণিজ্য নিয়ে তিনি চারটি বই লিখেছেন। ২০০৩ সালে লেখেন ‘ব্যাংকার টু দি পুওর, এ ওয়ার্ল্ড’। ২০০৮ সালে প্রকাশ পায় ‘উইদাউট পোভার্টি: সোশ্যাল বিজনেস অ্যান্ড দি ফিউচার অব ক্যাপিটালিজম’। ২০০৮ সালে ‘বিল্ডিং সোশ্যাল বিজনেস’ নামের বইটি বাজারে আসে। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় ‘এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’।

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা এবং নেলসন ম্যান্ডেলা যে পুরস্কার জিতেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে আরও ৭ জন মানুষ একই খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের একজন।

মালয়েশিয়ার আল বুখারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক দাতুক ড. আবদুল আজিজ তাজউদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, সামাজিক বাণিজ্যের মূল্যবোধ বিশেষ করে ড. ইউনূসের সামাজিক বাণ্যিজের সাতটি নীতির উপর ভিত্তি করে পুরো শিক্ষাক্রম সাজানো হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা সফল সামাজিক উদ্যোক্তা হতে পারে।

উল্লেখ্য, আল বুখারি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা তান শ্রী সায়েদ মুখতার আলবুখারি। আল বুখারি ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত। এটি একটি অলাভজনক বেসরকারি উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। দরিদ্রপীড়িত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করাই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম লক্ষ্য।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ