উচ্চ আদালতের রায়ে স্বপদে বহাল মোতাহার হোসেন

প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২০

উচ্চ আদালতের রায়ে  স্বপদে বহাল মোতাহার হোসেন

দিনরাত সংবাদঃ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার এমএ গণি আদর্শ কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন চাকরি ফিরে পেয়েছেন। উচ্চ আদালতের রায়ে তাঁকে স্বপদে বহাল করা হয়।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার ইউছুফ-গণি আদর্শ কলেজ(পরিবর্তিত নাম- এম.এ.গণি আদর্শ কলেজ) এর গভর্ণিংবডি কর্তৃক প্রভাষক মোতাহের হোসেনকে বহিস্কার করা হয়। বহিষ্কারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে অধ্যাাপক মোতাহের হোসেনের পক্ষে রায় দেয়া হয়। রায়ে কলেজটির বহিষ্কৃত প্রভাষক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেনের বিরুদ্ধে কলেজ গভর্নিংবডির বহিষ্কারাদেশ সম্পুর্ণ অবৈধ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার উল্লেখ করে আদেশ প্রাপ্তির ৭কার্য দিবসের মধ্যে তাঁেক চাকুরিতে স্বসম্মানে পূনর্বহালেরও নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

গত ২০ আগস্ট মামলাটির দীর্ঘ সাত পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ রায় উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর ২১০৯ ও ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ রিট পিটিশনের উপর দীর্ঘ শুনানি হয়। ৭ জানুয়ারি হাইকাের্টের বিজ্ঞ বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিজ্ঞ বিচারপতি মোঃ মুস্তাফিজুর রহমানের যৌথ ব্যাঞ্চ মামলাটির চুড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।

রিটকারী প্রভাষক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট এ.এম.আমিন উদ্দিন ও এডভোকেট মুশফিকু রহিম। আসামি পক্ষের ইউছুফ-গণি আদর্শ কলেজের গভর্ণিংবডির সভাপতি এবং সম্পাদক/অধ্যক্ষের পক্ষে আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল। রাষ্ট্র পক্ষে কোশলী ছিলেন অমিত তালুকদার ডিএজি। রায়ে আদেশ প্রাপ্তি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রভাষক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেনকে চাকুরিতে পুনর্বহালের জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছেন হাইকোর্ট।

মূল ঘটনা :

২০১২সালে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন প্রভাষক মোতাহের হোসেন। আর এ থেকেইে বিরোধর মূল সূত্রপাত। কলেজ প্রতিষ্ঠাতার ভাতিজা এ.এন.এম.আলম ও ভাতিজি জামাতা শাহ আলম সরকার, মমদুদ হোসেন ও দিলিপ চন্দ্র দাসসহ ৪ জন স্থানীয় সহকর্মী বিরোধীতা শুরু করেন। প্রভাষক মোতাহের হোসেনের পদোন্নতি ঠেকানোর কোনো উপায় না পেয়ে তাদের আজ্ঞাবহ গভর্ণিংবডিকে দিয়ে সে সময় থেকে বার বার মিথ্যা অভিযোগ তুলে কলেজচ্যুত করার চেষ্টা শুরু করেন। উল্লেখিত সহকর্মীদের আক্রোশের স্বীকার ও তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিংবডি সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে কতিপয় মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এবং অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূতভাবে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাময়িক বহিষ্কার করে। ২০১৫ সালের মার্চ হতে পূর্ণ বহিষ্কার করে বেতন ও সকল প্রকার ভাতা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে প্রভাষক মোতাহের হোসেনকে মানবেতর ও দুর্বিসহ জীবনে ঠেলে দেয় কলেজ গভর্ণিং বডি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ