মায়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখাই সিমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে

প্রকাশিত: ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

মায়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখাই সিমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে

সিলেটের দিনরাত:
~
“বাংলাদেশ সীমান্তে রকেট লঞ্চার সিস্টেম,এন্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম,বোমাসহ ব্যাপক সমরসজ্জা করে ঘাটি গেড়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে মিয়ানমার।”

রাখাইন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা দমনে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখাই সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ সীমান্তের এক কিলোমিটারের মধ্যে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করছে মিয়ানমার। এর মধ্যে দু’টি ফ্রিগেড, একটি কর্ভেড রাখাইন পানিসীমায় নিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম ও এন্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেমও আনা হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে মিয়ানমার বাহিনী অবৈধ ফসফরাস বোমা নিয়ে এসেছে রাখাইনে।

মিয়ানমারের সমরসজ্জার খবর এমন এক সময় পাওয়া যাচ্ছে, যখন খোদ জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে রাখাইনে নতুন করে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। চলমান সেনা সমাবেশের সময়েই রাখাইনে গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।

দি ইরাবতী পত্রিকায় ৪ সেপ্টেম্বর রাখাইনে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার একাধিক ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবিসি এ ব্যাপারে ভিডিওর একটি ক্লিপ প্রচার করেছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সাথে সৃষ্ট উত্তেজনার দোহাই দিয়ে মিয়ানমারের যে সামরিক প্রস্তুতি তা অনেকটাই কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলার মতো। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটি এখন আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।

এর সাথে ঢাকা যাতে একাত্ম না হয় তার জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়ে থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বাংলাদেশ সীমান্তের ১ কিলোমিটারের মধ্যে সেনা ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করতে দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারকে। এ ছাড়া রাখাইনে তিনটি সেনা ডিভিশনের বাইরে ওয়েস্টার্ন কমান্ডের অধীনে আরেকটি অনানুষ্ঠানিক ডিভিশন নিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে।

এই কমান্ডের অধীনে ৫৪০, ৫৩৮, ৩১৭, ৫৩৮, ৩৬৬, ৫৪ ও ৫৫ ইনফেন্ট্রি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। ১১ ও ৩৩ ডিভিশনের শক্তিও আরো বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষভাবে মংডু, বুচিডং, মংডু টাউনশিপ, ফকিরাবাজার, রাসিডং এলাকায় সেনাশক্তি বাড়ানো হয়েছে। এখানকার ইনফেন্ট্রি ও আর্টিলারি ব্যাটালিয়নের পাশাপাশি ৩৪ স্পেশাল ম্যাকানাইজড ইনফেন্ট্রি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে এই সমরসজ্জায় সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে উত্তেজনা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষত সীমান্তের এপারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের যেসব স্বজন এখনো ওপারের বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়শিবির ও বাড়িঘরে রয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।

সূত্র: সময় নিউজ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ