লাদাখে ভারতীয় সেনাদের বন্দুকের ঘাটতি, জরুরি সরবরাহ চেয়ে চিঠি

প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

লাদাখে ভারতীয় সেনাদের বন্দুকের ঘাটতি, জরুরি সরবরাহ চেয়ে চিঠি

দৈনিক সিলেটের দিনরাতঃঃ

,

লাদাখে লাইন অব অ্যাকচুলায়ল কন্ট্রোলের (এলএসি) কাছাকাছি কয়েক মাস ধরে চীনা সেনাদের মুখোমুখি অবস্থায় থাকা ভারতীয় সেনাদের বন্দুকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই জরুরিভিত্তিতে কিছু সংখ্যক ক্লোজ-কোয়ার্টার ব্যাটল রাইফেল বা কারবাইন চেয়ে হেডকোয়ার্টারে চিঠি পাঠিয়েছেন সেখানকার কমান্ডার।

সূত্র এই পত্রিকাকে জানায়, চাহিদা মেটানোর জন্য ৩৫০,০০০ কারবাইনের অর্ডার ভারতীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। কিন্তু অবিলম্বে ৯৩,৮৯৫ কারবাইন সংগ্রহের বিষয়টি ২০১৮ সাল থেকে আটকে আছে। যুদ্ধপরিস্থিতিতে এইসব কারবাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বহু বছর ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী মুখোমুখি যুদ্ধের অস্ত্র স্বল্পতায় ভুগছে। অফিসাররা বলছেন যে দায়িত্ব পালনকালে সেনারা নিয়মিত সেসব অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করে সেগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। কারবাইনগুলো সন্ত্রাস-দমন অপারেশনে বিশেষভাবে কার্যকরি হলেও সীমান্ত অভিযানেও এগুলোর কার্যকারিতা ব্যাপক। বিশেষ করে যেসব এলাকায় সেনাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা থাকে।

সূত্র জানায়, দেশে এ ধরনের অস্ত্র তৈরির জন্য সেনাবাহিনী সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ সমর্থন করে। এ লক্ষ্যে পুরোপুরি ভারতে ৩৫০,০০০ কারবাইন তৈরির জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এসব অস্ত্র রফতানিও করা যেতে পারে।

তবে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কোন যুৎসই বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরার জন্য অন্তত দুই থেকে তিন বছর লাগতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, তবে এখন যে প্রয়োজন তার সঙ্গে কোন আপোস করা যায় না। এখনই এসব অস্ত্র প্রয়োজন এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ ফাস্ট-ট্রাকে সংগ্রহ করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।

গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষা সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ২০১৮ সাল থেকে যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা মেক ইন ইন্ডিয়া পরিকল্পনার কারণে বাতিল করা হবে। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতাসম্পনন প্রতিরক্ষা সংগ্রহ পরিষদ ওই সিদ্ধান্ত এখনো অনুমোদন করেনি।

৯৩,৮৯৫টি কারবাইন সংগ্রহের জন্য ২০১৮ সালে ফাস্ট-ট্রাক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো সক্রিয় এসেমব্লি লাইন থেকে সংগ্রহের মাধ্যমে সময় কমিয়ে আনার জন্য। কোন ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে সাড়া না পাওয়ায় বিদেশী কোম্পানিকে বাছাই করা হয় পরীক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য।

সূত্র জানায়, এখন এ ধরনের অস্ত্র তৈরির সামর্থ্য অর্জন করেছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো এবং আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে বিকল্প হাতে এসে যাবে।

Source ইকনমিক টাইমস

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV