জগন্নাথপুর এর কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন এর অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

জগন্নাথপুর এর কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন এর অভিযোগ

দৈনিক দিনরা, মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

.
মনু নদীর অনুমোদন নিয়ে জগন্নাথপুরের কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে মৌলভীবাজার এর আশরাফ আলী লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী রানীগঞ্জবাসী।
লিখিত অভিযোগ পত্র ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার নিবাসী আশরাফ আলী অন্য মনু নদীর লিজকৃত বালু মহালের কাগজপত্র উপজেলা প্রশাসনে জমা দিয়ে স্থানীয় আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে জগন্নাথপুর এর কুশিয়ারা নদী থেকে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে মজুদ করে বিক্রি করছেন। কুশিয়ারা নদী থেকে হাউড্রোলিক ড্রেজার ও বাল্কহেড নৌকা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার ফলে নদীভাঙনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারাচ্ছেন নদী তীরবর্তী অনেকে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা থেকে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীতে কোনো প্রকার বালু মহাল নেই। অথচ মৌলভীবাজার নিবাসী আশরাফ আলী অন্য একটি বালু মহালের কাগজ অফিসে জমা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন এ বিষয়ে মনুনদী-১৬ (চানপুর) মহালের মালিক হায়দায় আলী জগন্নাথপুর থানায় গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানা থেকে উভয়পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বললেও আশরাফ আলী কাগজপত্র নিয়ে হাজির হননি।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ছানু মিয়া সহ অনেকেই বলেন, কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আশরাফ আলী মনু নদীর বালু উত্তোলনের কাগজ জমা দিয়ে অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে ২৮শে সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছি।
এ ব্যাপারে জানতে আশরাফ আলীর মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে আশরাফ আলীর স্থানীয় প্রতিনিধি রানীগঞ্জের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কুশিয়ারা নদী থেকে কোনো বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ