কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতের টাকা ভূয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির শুনানির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ২টায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে শুনানির কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে অভিযোগের বাদী আনোয়ার হোসেন ও আব্দুল মান্নান উপস্থিত হলেও তদন্ত কমিটির সদস্য ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ বিকেল ৪টা পর্যন্ত তদন্ত কাজে উপস্থিত হতে না পারায় শুনানির তারিখ পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে চিঠির মাধ্যমে তদন্তের তারিখ জানানো হবে বলে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ জিলানী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। তদন্তকালে ৫ সদস্য কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ জিলানী, কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল হারিছ ও দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল। হাসপাতালের বিভিন্ন খাতের টাকা বিল ভাউচারে স্বাক্ষরদানকারী হাসপাতালের অফিস সহকারী শামীম আহমদ উপস্থিত হলেও টিএইচও ডাঃ শেখ শরফ উদ্দিন নাহিদ উপস্থিত হননি। জানা যায়, সম্প্রতি হাসপাতালের বিভিন্ন খাতের টাকা বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি টাকা আত্মসাতের দায়ে হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ শেখ শরফ উদ্দিন নাহিদ ও অফিস সহকারী শামীমের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দফতর সহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খানের বরাবরে আব্দুল মান্নান ও আনোয়ার হোসেন সহ কয়েকজন লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিগত মাসের উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।