কারাবাখে উড়ছে আজারবাইজানের পতাকা

প্রকাশিত: ৯:১০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২০

কারাবাখে উড়ছে আজারবাইজানের পতাকা

দৈনিক সিলেটের দিনরাতঃঃ
,

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার চলমান সংঘর্ষের মধ্যে আর্মেনিয়ার দখলে থাকা কারাবাখের ২২টি এলাকা দখলমুক্ত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। সোমবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদুলু এজেন্সি।

আজারবাইজানের বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজারবাইজানের সেনাবাহিনীদের চালানো অভিযানে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২২টি অধিকৃত এলাকা দখলমুক্ত করা হয়েছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির বেলাগান, বারডা, টার্টার শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে আর্মেনিয়া। আরেকটি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী ফিজুলি অঞ্চলের হোরাডিজ শহর, আগজবেদী অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম, তাতার শহর ও এর গ্রামগুলো, গোরানবয় এবং গয়েগল অঞ্চলগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছিল।
শনিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এক টুইটার বার্তায় তিনি জানান, আমাদের সেনারা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে কারাবাখের তিনটি জেলার বেশকিছু গ্রাম শত্রুমুক্ত করেছে। গ্রামগুলো হলো- টের্টার জেলার তালিশ, জাব্রাইল জেলার মেহদিলি, চক্সিরলি, আশাগি ম্যারালিয়ান, শেবি, গাইজাগ এবং ফিজুলি জেলার আশাগি আবদুর রহমানিয়ালি। এর আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, কারাবাখের মুক্ত করা মাদাগিজ শহরে আজারবাইজানের পতাকা উত্তোলন করেছে আমাদের সেনারা। মাদাগিজ এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক শ মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশই আর্মেনীয় সেনা। বিপুলসংখ্যক সেনা, সমরাস্ত্র ও ভূখণ্ড হারিয়ে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে আর্মেনিয়া। এর জবাবে আজারবাইজান জানিয়েছে, আর্মেনীয়রা নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চল না ছাড়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দুটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আলাদা হয় তারা। গত চার দশক ধরে নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে এই দুই দেশ দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অঞ্চল হিসেবেই স্বীকৃত নাগোর্নো-কারাবাখ। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত আর্মেনিয়ানরা।