ভুয়া পিএইচডিধারী বাড়ছেই !

প্রকাশিত: ১২:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২০

ভুয়া পিএইচডিধারী বাড়ছেই !

দিনরাত ডেস্ক: বিক্রি হচ্ছে পিএইচডি ডিগ্রি। হরহামেশা এ ডিগ্রি কিনে নিজের নামের আগে ড. বসিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। বিশেষ করে সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তার বাড়তি সুবিধা পেতে এই ডিগ্রি কিনছে দেদারছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরকারি আমলা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদের কর্মকর্তারা অনুমোদনহীন ও ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি নিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ইউসিজি এসবের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসলেও অদৃশ্য কারণে ফের স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে ভুয়া ডিগ্রিধারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিজেদের কর্মস্থলে, নিচ্ছে সুবিধা।

সাধারণত নতুন গবেষণা এবং নতুন কিছু উদ্ভাবন করা। যা আগে কখনো করা হয়নি। এই চাহিদা পূরণ করতে না পারলে সাধারণত ডিগ্রিটি অর্জন করা যায় না। এই ডিগ্রিকে একাডেমিক সর্বোচ্চ ডিগ্রি বলা হয়। যা অর্জন করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। দিনের পর দিন পরিশ্রম আর গবেষণার ফসল হচ্ছে পিএইচডি। অথচ এ ডিগ্রি নিয়ে হচ্ছে কারবার।

অভিযোগ অনেক: দুই তিন বছর আগে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি সনদ দিয়ে নিজের নামের আগে ‘ডক্টর’ উপাধি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিলো বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি কিনেছিলেন। বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকারও করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, তিনি আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে অনলাইনে পিএইচডি কিনেছেন। যার ক্যাম্পাস ছিল কাকরাইলে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা অনলাইনে পিএইচডি বিক্রি করে।

ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক হুমায়ন কবির একই প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন মর্মে একটি সনদ ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন। পিএইচডি সনদের ভিত্তিতে দুটি ইনক্রিমেন্টও লাভ করেন তিনি। পরে ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক তদন্তে তার সনদ অবৈধ প্রমাণিত হয়। তদন্ত কমিটি তার পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল, ইনক্রিমেন্ট বাবদ প্রদত্ত অর্থ ফেরত এবং নৈতিক স্খলনের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। একই প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া পিএইচডি ডিগ্রি কর্মস্থলে জমা দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। এ কর্মকর্তার ডিগ্রিও অবৈধ বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে ইউজিসি। মোস্তাফিজুর রহমান, হুমায়ুন কবির ও আতিকুর রহমানের মতো অসংখ্য সরকারি কর্মকর্তা অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের অবৈধ সনদ দিয়ে চাকরিতে সুবিধা নিচ্ছেন।

সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী তখন এমন ভুয়া সনদধারী ছিল ৫ হাজারের মতো। বছর দুয়েক আগে এর সংখ্যা ছিল সাড়ে ৮ হাজারের মতো। বর্তমানে তাদের কাছে এর কোনো হিসাব নেই বলে এই সূত্র জানিয়েছে। ডিআইএ বলছে, দেশের আইন অনুসারে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার এখতিয়ার বা সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার মানবজমিনকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পিএইচডি নিয়ে তদন্ত করতে পারি না। তবে বছর তিনেক আগে স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের কিছু অভিযোগ ছিল। আমরা তা খতিয়ে দেখেছি এবং ব্যবস্থা নিয়েছি। আর বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য প্রতিষ্ঠানের কারো বিরুদ্ধে যদি এমন অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা দেখবে সেইসব প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়েই দেখে থাকে।

ভুয়া পিএইচডি নিয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা আছে সেগুলো ধরা পড়লে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থিসিস জমা দেয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে, সেখান থেকেও সহজে ভুয়া বা জাল পিএইচডি অনায়াসে ধরা পড়ে যায়। আমরা এসব বিষয়ে এখন খুব সচেতন। ভুয়া পিএইচডির বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি। সফটওয়ার ব্যবহার করছি।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি সনদ বিক্রি করছে: খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুয়া ও মানহীন পিএইচডি দেয়ায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে ইউজিসি। তারপরও ওইসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনো কিনছেন পিএইচডি। ইউজিসির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মানবজমিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ইউএসএ (বাংলাদেশ স্ট্যাডি সেন্টার) বাংলাদেশে অন্যতম ছিল। যদিও পাঁচ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসংখ্য ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি নেয়া ব্যক্তিরা এখনো তাদের ডিগ্রি ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, শুধুমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে ৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি পিএইচডি ডিগ্রি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদক শুরুতে কাজ করলেও এখন তেমন একটা অগ্রগতি নেই। আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ইউএসএসহ অন্তত ৫৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে দেড় লাখ থেকে ৩ লাখ টাকায় পিএইচডি ডিগ্রি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেশির ভাগই মালয়েশিয়া, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া কেন্দ্রিক বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকে। আর ভুয়া ডিগ্রি নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি আমলা, কর্মকর্তা ও আইনজীবীর সংখ্যা বেশি।

এরমধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালানিয়া, ইউনিভার্সিটি অব সালায়গন, ওপেন ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়া, দার্জি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, নর্থ আম্বিয়া ইউকে, হিলিয়েট ওয়ার্ক ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইয়ুথ, রয়েল রুথ অব কানাডা। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে বাংলাদেশে শাখা খুলে সনদ বাণিজ্য করে বিভিন্ন চক্র। ইউজিসি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা নামধারী অবৈধ প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেয়ার সুযোগ নেই। যদিও ইউজিসির মতামত ছাড়াই অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সরকারি আমলা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা এসব সনদ কিনছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এখন যত্রতত্র এসব ডিগ্রি মিলে। ফলে পিএইচডি ডিগ্রি নেয়া ব্যক্তিদের আগের মতো সম্মান নেই। শুধু তাই নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুধু বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত মুনাফার উদ্দেশ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পিএইচডির তত্ত্বাবধায়ক হচ্ছেন। পরবর্তীতে তারা এদের কাছ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন- এমন অভিযোগ আছে। যা খুব দুঃখজনক। আমরা চাই তদারকি করা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ভুয়া পিএইচডি বা জালিয়াতির ব্যাপারে আরো সচেতন হবে। এবং ব্যবস্থা নিবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছেন, সরকার ‘ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন’ নামে একটি আইন পাস করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের অনুমোদিত কোর্স এখানকার স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবে। এই আইন পাস হওয়ার পর বন্ধ হওয়া এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান ভিন্ন নামে স্ট্যাডি সেন্টার খোলার তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে বেশ কয়েকটি আবেদনও পড়েছে। এদিকে, বছর দুয়েক আগে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রিধারীদের ধরতে মাঠে নেমেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুধু ডিগ্রিধারী নয়, যারা এ সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত তাদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছিলো সংস্থাটি। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের হিসেবে দেশে সাড়ে আট হাজারের মতো ব্যক্তি ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। দুদক তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে সহায়তা নেয়ার কথাও ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এরপর আর এই অভিযানটি বেশি দূর এগোয়নি। এই বিষয়ে সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি অবগত নন।

ইউজিসির কাছে জবাব চেয়েছে হাইকোর্ট: সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আইন মেনে দেয়া হচ্ছে কি না তা তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ৫ই ফেব্রুয়ারি এই নির্দেশনা দেন। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রির জন্য শিক্ষার্থী বা গবেষকের জমা দেয়া থিসিস অনুমোদনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে যাচাই করার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং জালিয়াতি রোধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে শিক্ষা সচিব, ইউজিসি চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের। এমন আদেশ দেয়ার সাত মাস পরেও জবাব দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে এমনটা হয়েছে। তারা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি দেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকনের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই আইনজীবী মানবজমিনকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন কোর্ট বন্ধ ছিল। যার কারণে হয়তো সংশ্লিষ্টরা জবাব দিতে পারেনি। আমি কয়েকবার কোর্টে গিয়েছিলাম। কোর্ট বলেছে, সবকিছু আরো একটু স্বাভাবিক হলে ওই রিটের কার্যক্রম আবার শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা যেসব বিশ্ববিদ্যালয় কালো তালিকাভুক্ত করেছি সেগুলোতেই দেখি পিএইচডির শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে বা পিএইচডি নিচ্ছে। তাহলে আমাদের করণীয়টা কী এই প্রশ্ন আমারো। তাছাড়া ভুয়া পিএইচডি ধরার জন্য আমরা কিছু নতুন পরিকল্পনা করেছি।

যেগুলো ব্যবহার করে সহজে আমরা ভুয়া পিএইচডি ধরতে পারবো। হাইকোর্টের জবাবের ব্যাপারে তিনি বলেন, সেটা আমাদের লিগ্যাল সাইড দেখবে। অবশ্য করোনার কারণে হয়তো জবাব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ভুয়া পিএইচডি’র অভিযোগ অনেক আসে সেগুলোও আমরা খতিয়ে দেখি, এবং ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে যারা পিএইচডি করবেন, তাদের কাছে অনুরোধ ভালো প্রতিষ্ঠানে, শ্রম ও মেধা ব্যয় করে ডিগ্রিটি গ্রহণ করুন। নিজের ও দেশের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ