মার্কিন শীর্ষ গণমাধ্যমে নেই আর্মেনীয় হামলার খবর

প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০

মার্কিন শীর্ষ গণমাধ্যমে নেই আর্মেনীয় হামলার খবর

দৈনিক দিনরাত সংবাদ ঃঃ
—–

শনিবার আজারবাইজানের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আর্মেনিয়ার চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর এড়িয়ে গেছে মার্কিন মূলধারার গণমাধ্যম। ওই হামলায় নারী, শিশুসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়। আহত হয় আর ৫০ জন।

নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জানার্ল এবং সিএনএনএর মতো বিখ্যাত গণমাধ্যমের প্রধান পাতা বা আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠায় স্থান পায়নি আর্মেনিয়ার হামলার খবর।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি খবর ওয়াশিংটন পোস্টের ইউরোপ অংশে ছাপা হয়। এতে বলা হয়, দ্বিতীয় বৃহত্তর শহরে হামলার জন্য আর্মেনিয়াকে অভিযুক্ত করেছে আজারবাইজান। খবরের কোথাও হামলার জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করা হয়নি।

আর্মেনিয়া অব্যাহতভাবে হামলা চালালেও রয়টার্সের খবরের শিরোনাম ছিল- আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ; গোলা হামলার জন্য একে অপরকে দুষছে।
আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর গানজায় শনিবার সকালে হামলা চালায় আর্মেনিয়া। এতে চার নারী, তিন শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ৫০ জন। এদের মধ্যে ২০ জন নারী, ৫ জন শিশু। আজারবাইজানের প্রসিকিউশন দফতর জানায়, হামলার পর দুই শিশু এখনো নিখোঁজ।
আর্মেনিয়ার ওই হামলায় আজারবাইজানের অন্তত ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় গানজায় সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালালো আর্মেনিয়া। আজারবাইজানের এ শহরটিতে ৫ লাখ লোকের বসবাস।
গানজার পার্শ্ববর্তী মিনাগাচেভিরের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করেও এদিন স্থানীয় সময় রাত ১টায় হামলার চেষ্টা করে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয় আজারবাইজানের আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগ।
২৭ অক্টোবর আজারবাইজানের বেসামরিক নাগরিকদের বসতি এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় আর্মেনিয়া। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তারপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত বাধে। এরপর থেকে প্রতিদিনই আজারবাইজানের বেসামরিক এবং সমারিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী।
আজারবাইজানের সরকারি হিসাবে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত আর্মেনিয়ার হামলায় ৬০ জন আজারবাইজানের নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৭০ জন।
আর্মেনিয়ার হামলায় আজারবাইজানের ৯০টি আবাসিক ভবন, ৩২৭টি বেসামরিক স্থাপনাসহ ১ হাজার ৭০৪টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাকুর প্রসিকিউটর দফতর।