সিলেট ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২০
দৈনিক সিলেটের দিনরাত,তাহিরপুর প্রতিনিধিঃঃ-
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নদী জাদুকাটায় বালু পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছে জাদুকাটা নদী নির্ভর হাজারো শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করে বলেন, এভাবে আরও দিনের পর দিন যাদুকাটা নদীর কাজ বন্ধ থাকলে এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানান ধরনের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।আর তাই জাদুকাটা নদীতে কাজের দাবিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি মানববন্ধনের মাধ্যমে আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। জাদুকাটা বালু পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সমবায় সমিতির আয়োজনে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাদুকাটা নদী তীরবর্তী ঘাগড়া-গড়কাটি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় হাজারো নারী-পুরুষ শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণ এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,জাদুকাটা বালু পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুস সাহিদ, স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য রেনু মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা নুর হোসেন মল্লিক,বালু পাথর ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন মুনসুর আলম, শ্রমিকদের পক্ষে কপিল মিয়া,রুসেনা বেগম প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,করোনা কালীন সময়ে সারাদেশের ন্যায় হাওরাঞ্চল তাহিরপুরেও নিম্নআয়ের হাজারো শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে। কাজের সন্ধানে দ্বিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। করোনা কালীন প্রেক্ষাপটে সীমান্তের ৩টি শুল্ক স্টেশন বন্ধ হবার পাশাপাশি জাদুকাটা নদীতেও শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আর এতে করে শ্রমিকদের পাশাপাশি এর সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরাও নানামুখী সংকটে পতিত হয়। বক্তারা আরও বলেন, তাহিরপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী আরও ২টি উপজেলার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের অন্যতম উৎস এ জাদুকাটা নদী। কিন্তু গত ৭-৮ মাস ধরে কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে কাজের জন্য আহাজারি দেখা দিয়েছে। দ্বিকবিদিক ছুটাছুটি করেও কোন কাজের সন্ধান পাচ্ছে না। তাই অনতিবিলম্ব জাদুকাটা নদীতে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিনীত আহবান জানাচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- 01712-174796
অনলাইন সম্পাদক : জাকারিয়া হোসেন জোসেফ
মোবাঃ- 01711-145909
ইমেইলঃ-newssylbangla@gmail.com
এক্সেল টাওয়ার ২য় তলা সুবিদ বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D