সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২০
দৈনিক সিলেটের দিনরাতঃ
প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্য কোথাও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসবে না তুরস্ক। শনিবার হ্যালিফ্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোরামের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এতে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্য কোথাও আমাদের পিছু হটার সুযোগ নেই। ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা কখনও এশিয়া ও আফ্রিকাকে উপেক্ষা করতে পারি না।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রাচ্যকে উপেক্ষা না করেই পাশ্চাত্যের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক রাখছে তুরস্ক।
এরদোয়ান বলেন, ভৌগোলিকভাবে তুরস্ক একটি আফ্রিকান-ইউরেশীয় দেশ। ফলে কূটনৈতিকভাবে নিজেদের একটি সংকীর্ণ কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা আমাদের জন্য কেবল ভুলই নয়; এটি অসম্ভবও বটে।
রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সাম্প্রতিক বোঝাপড়া নিয়েও কথা বলেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক গভীরতর সহযোগিতাকে আমরা আমেরিকার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ-প্রতিষ্ঠিত সম্পর্কের বিকল্প হিসেবে দেখছি না।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ন্যাটোতে আমাদের অবস্থানকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। ৬৮ বছর ধরে আমরা এ জোটের সদস্য। তুরস্কের সীমান্ত ন্যাটোরও সীমান্ত।’
এরদোয়ান বলেন, আফগানিস্তান, কসোভো, ইরাক, কৃষ্ণ সাগর, ভূমধ্যসাগর ও অন্যান্য অঞ্চলে ন্যাটো জোটের জন্য তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আঙ্কারা এক বিশাল বোঝা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বাস্তবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ তুরস্ক কাউকে দেবে না।
এমন সময়ে এরদোয়ান এসব কথা বললেন যার কদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তুরস্ক সফর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়। ওই সফরে পম্পেও শুধু খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তুরস্কের কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক কোনও বৈঠক হয়নি। ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কারাবাখ যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেন পম্পেও। তার দাবি, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার সংঘর্ষে মানবিক সংকট উত্তরণে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, কারাবাখ ইস্যুতে তুরস্কের অবস্থানের সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এ সংঘাতে তুরস্কের পৃষ্ঠপোষকতায় বড় ধরনের জয় পায় আজারবাইজান। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী এরইমধ্যে কারাবাখে রুশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আইনি বাধ্যবাধকতায় থাকায় অঞ্চলটিতে তুর্কি বাহিনী মোতায়েনে পার্লামেন্টের অনুমোদন নেয় তুরস্ক। তবে মস্কোর সঙ্গে আঙ্কারার সহযোগিতামূলক সম্পর্কে খুশি নয় অনেক পশ্চিমা দেশ।
(সুত্র,ডন)
ফয়সাল আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- ০১৭১২ ১৭ ৪৭ ৯৬
ইমেইলঃ- newssylbangla@gmail.com
রংমহল টাওয়ার ৪র্থ তলা বন্দর বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D