জৈন্তাপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০

জৈন্তাপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

লুৎফুল করিম রাজ্জাক

ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সারী নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, বড়গাং, শ্রীপুর, রাংপানি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তাঘাটে যানবাহন ও লোকজন চলাচল অনেকটা কমে গেছে।
আজ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের কেদ্রী, শেওলারটুক, বাওন হাওর, বাউরভাগ, লক্ষীপুর, বিরাইমারা, লামনীগ্রাম, কাটাখাল গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করছে। গ্রামীণ জনপদের অনেক রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
নিজপাট ইউনিয়নের বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, নয়াবাড়ী, জাঙ্গালহাটি, পশ্চিম গৌরিশংকর, ডিবির হাওর, কামরাঙ্গীখেল, বাইরাখেল, হর্নি, কালিঞ্জীবাড়ী, দিগারাইল, নয়াগাতি, বারগতি, হেলিরাই, গুয়াবাড়ি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
চিকনাগুল ইউনিয়নের কাটুয়াকাদি, কাপনাকান্দি, শিখারখাঁ গ্রামের অনেক জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে চলাচল করছেন লোকজন।
দরবস্ত ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের সেনগ্রাম, গর্দ্দনা, হাজারী সেনগ্রাম, তেলিজুরী, ছাতারখাই গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
হরিপুর ইউনিয়নের বালিপাড়া, লামাশ্যামপুর, দলাইপাড়া এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল, বালিদাড়া, থুবাং, ভিত্রিখেল, সরুখেলসহ অনেক গ্রামে পাহাড়ি ঢলের কারণে স্থানীয়রা অনকটা ঝুঁকির মধ্য রয়েছেন।
বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন উপজলা পরিষদেরর চেয়ারম্যান কামাল আহমদ। তিনি বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সরকারী সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন মানিক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন`র উচু এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলাকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ