বালু বোঝাই নৌকা আটক সুনামগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্যকে গুণতে হল জরিমানার অর্ধলক্ষ টাকা

প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০

বালু বোঝাই নৌকা আটক সুনামগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্যকে গুণতে হল জরিমানার অর্ধলক্ষ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া ওরফে কিবরিয়া মেম্বারের নিকট হতে ভ্রাম্যমান আদালত অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
নদীরচর হতে অবৈধভাবে বালু উক্তোলনের অনুমতি ও বালু বিক্রির অপরাধ আমলে নিয়ে বুধবার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাবেক ওই ইউপি সদস্যকে জরিমানা প্রদানের আদেশ প্রদান করেন।,
কিবরিয়া উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের মধুয়ারচর গ্রামের লাল মাহমুদের ছেলে ও ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ’র সহ সভাপতি।
বৃহস্পতিবার উপজেলা ভুমি অফিস জানায়,সরকারি কাজে বালু নেয়ার অজুহাত দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন কয়েকশতাধিক শ্রমিককে উপজেলার মাহারাম নদীরচর হতে বালু উক্তোলনের অনুমতি প্রদান এবং একাধিক ব্যবসায়ীর নিকট বালু বিক্রি করে আসছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য কিবরিয়া।
বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার মাহারাম নদীতে বালু উক্তোলনরত অবস্থায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বালু বোঝাই চারটি নৌকা আটক করা হয়।,
পরবর্তীতে বালু বোঝাই নৌকাগুলো ছাড়িয়ে নিতে তদবীর,বালু উক্তোলন, বালু বিক্রিতে নিজের দায় স্বীকার করলে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কিবরিয়াকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড জরিমানা করেন।,
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাবেক ইউপি সদস্য কিবরিয়া গণমাধ্যমকে জানান, আমার বালু বোঝাই এক নৌকার সাড়ে ১২হাজার ও বাদাঘাট মক্কা টওয়ারের মালিক মাটিকাঁটার কয়লা ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছের বালু বোঝাই তিন নৌকার ৩৭ হাজার ৫’শ টাকা সহ মোট ৫০ হাজার টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা পরিশোধ করে নৌকাগুলো ছাড়িয়ে এনেছি।,
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,বালু উক্তোলনে জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সীমান্তনদী মাহারাম বালু মহাল হিসাবে কাউকে ইজারা প্রদান করায় হয়নি।,
আটককৃত চারটি নৌকায় কতঘনফুট বালু ছিল,বালুসহ চারটি নৌকার মুল্য কত, জব্দমূলে বালু নৌকাসহ অবৈধভাবে বালু উক্তোলনের অনুমতি এবং বালু বিক্রির ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালদ কতৃক অর্থদন্ড জরিমানা আদায়ের পরিবর্তে নিয়মিত মামলা রুজুর আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল কি না? এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, এ বিষয়ে এতটা গভীরে খতিয়ে দেখিনি।,

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ