অবহেলিত নশিওরপুর খন্দকার বাজার ব্রিজ

প্রকাশিত: ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২১

অবহেলিত  নশিওরপুর খন্দকার বাজার ব্রিজ

 

মুহাম্মদ সানোয়ার আলী

ওসমানীনগর উপজেলার খন্দকার বাজারস্থ এবং বালাগঞ্জের নশিওরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়বাঘা নদীর উপর ছোট্ট একটু ব্রিজ আছে সেই ব্রিজটি আনুমানিক ১০০ বছরের থেকেও পুরনো , এবং বয়স্ক মানুষের মুখ থেকে যেমনটা জানা যায় যে এইটা হয়তো ব্রিটিশ শাসন আমলে স্থাপিত করা হয়েছিল, আসলে সেই সময় হয়তো ব্রিজটি ছোট করে বানানো হয়েছিল যাতে করে দু’পাশের মানুষ খুব সহজে নদী পারাপার করতে পারে । সেই শতাব্দীতে হয়তো এই ব্রিজ দিয়ে তেমন বড় যানবাহন চলাচল করতো না বা করার কোনো সম্ভাবনা ছিল না বলেই এই ব্রিজটি ছোট করে বানানো হয়েছিল যাতে এপার-ওপারের মানুষ সহজে নদী পারাপার করতে পারে কোনো প্রকার নৌকা ছাড়া । আগে গ্রামাঞ্চলের দিকে তেমন কোন বড় বড় যানবাহন চলাচল করত না । এবং আশেপাশের যোগাযোগের জন্য রাস্তাঘাট তেমন একটা ভালো ছিলো না যার জন্য গ্রামাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের জন্য নদী কিংবা পানিপথ ব্যাবহার করতে হতো । কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুরই পরিবর্তন এসেছে যেমন এখন মানুষ পানিপথ তেমন একটা ব্যবহার করে না বললেই চলে কারন হচ্ছে আশেপাশের সব রাস্তাঘাট সবকিছুই অনেক উন্নত মানের করা হয়েছে সরকারের উন্নতি সবদিকেই প্রতীয়মান হচ্ছে কিন্তু সেই ১০০ বছরের ও বেশি পুরনো এই ব্রিজটি এখনো অবহেলিত পড়ে আছে । সেই ২০০১ সালের পর থেকে যতজন এমপি এই এলাকায় নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রত্যেকেই বলেছিলেন যে এই ব্রিজটা করে দিবেন নাম উল্লেখ করতে গেলে বলতে হয় সেই ২০০১ সালের পর BNP নির্বাচিত এমপি ইলিয়াস আলী, তারপর আওয়ামীলীগ নির্বাচিত এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী তারপর জাতীয় পার্টির নির্বাচিত এমপি এহিয়া মিয়া চৌধুরী তারপর মরহুম কয়েস চৌধুরী সহ্ ২০১৯ সালে বর্তমান মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এম এ আব্দুল মোমেন এই এলাকার একটি অনুষ্ঠানে এসেও কথা দিয়েছিলেন যে এই ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে বানিয়ে দেওয়া হবে যাতে করে বড়বাঘার এই দুই পাড়ের মানুষের চলাচলের জন্য সুবিদা হয় । কিন্তু দিন শেষে এই দুই পাড়ের মানুষ অবহেলিত হয়েই যাচ্ছে । আমরা আশাকরি এবং এই দুই উপজেলার মানুষের একটাই দাবি যে এই ব্রিজ টা ভেঙে আধুনিক ডিজাইনে বড় করে পুনরায় বানানো হউক । এবং দুই পাড়ের মানুষের কষ্টের অবসান ঘটিয়ে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ