দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রতিষ্টার কয়েক যুগ/নেই সমাজসেবা অফিসের নিজস্ব কার্যালয়

প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২০

দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রতিষ্টার কয়েক যুগ/নেই সমাজসেবা অফিসের নিজস্ব কার্যালয়

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের মডেল হাইস্কুলের পশ্চিম পাশে রাস্তাধরে একটু সামনে এগুতেই চোখে পরবে দৃষ্টিনন্দন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। ভবনের উপরে লেখা ০৩ নং দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন। এই পরিষদ ভবনের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ভবন লাগোয়া পশ্চিম দিকে সিঁড়ি বেয়ে দুতলায় পাশাপাশি আরও দুটি সাইনবোর্ড টানানো। তার একটিতে লেখা উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কার্যালয়। অপরটি ব্যাংক এশিয়া সদর ইউনিয়ন শাখার এজেন্টের সাইনবোর্ড।

ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হলেও এই ভবনটা উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কার্যালয় নাকি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান এখানে আসা সাধারণ মানুষ। সেবাগ্রহিতা ছাড়াও এখানে সাধারণ মানুষের বাড়তি বিড়ম্বনা আছেই প্রতিনিয়ত। কখনো কম্পিউটার অপারেটরের দোকান, কখনোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় আবার কখনোবা ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট মনে করে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ নানান সমস্যা নিয়ে দেদারসে ডুকে পড়ছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কার্যালয়ে। এতে করে অফিসে কর্মরত লোকজনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষেরাও বার বার বিড়ম্বনা আর বিরক্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকে এক অফিসের কাজে এসে অন্য অফিসে ডুকে পরে রীতিমতো বিব্রতবোধ করছেন।

দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও আজোবধি আলোর মুখ দেখেনি উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কার্যালয়। প্রশাসনের অন্যান্য সেক্টরের নিজস্ব কার্যলয় থাকলেও উপজেলা সমাজসেবা অফিসের নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে। নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় কখনো সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পুরাতন পরিত্যক্ত জেলখানায় আবার কখনোবা ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের উপর নির্ভর করে জোড়াতালি দিয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের। এতে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, সমাজসেবা অফিসের স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের বিষয়ে উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। শুধু নিজস্ব কার্যালয়ের সংকটই নয়, এছাড়াও আরো নানান সমস্যা ও সংকটে জর্জরিত উপজেলা সমাজসেবা অফিস। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে মাত্র ৩ জন সমাজকর্মী দিয়ে চলছে কার্যক্রম। এদের মধ্যে দুজনই প্রবীণ। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কাজের বাড়তি চাপ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, নিজস্ব অফিস থাকলে নির্বিঘ্নে কাজ করা যেতো। নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় আপাতত ইউনিয়ন পরিষদের ভবন ভাড়া নিয়ে কাজ করছি। এখানে প্রতিদিন নানান ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ভবন সংকটের বিষয়টি অবহিত করেছি।

মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, উপজেলা পরিষদের ভবনে রুম সংকট থাকার কারণে অন্যত্র রুম ভাড়া করে আমাদের অনেক অফিসের কার্যক্রম চলছে। আগামীতে নতুন ভবন নির্মাণ হলে তখন সমাজসেবা অফিসের নিজস্ব কার্যালয় দেওয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ