ছাতকে বিকাশে প্রতারিত বিশ হাজার টাকা উদ্ধার

প্রকাশিত: ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১

ছাতকে বিকাশে প্রতারিত বিশ হাজার টাকা উদ্ধার

ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের ছাতকে কলেজ ছাত্রী রেহেনার, বিকাশ প্রতারিত হওয়া বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ। মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশের একাউন্ট হ্যাক অথবা যে কোনো উপায়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া বিকাশ একাউন্টের টাকা উদ্ধারের জন্য ছাতকে বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছেন এসআই আসাদুজ্জামান রাসেল। প্রতিদিনই বিকাশ একাউন্ট থেকে নানা পন্থায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। এসব টাকা উদ্ধারের জন্য ছাতক বাসির ভরসার জায়গা হয়ে উঠছেন এসআই আসাদুজ্জামান রাসেল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ধন্যবাদ জানান তাঁকে। হারানো টাকা হাতে পেয়ে অনেকে আবেগঘন পোস্টও করেন ফেসবুকে। এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন বিকাশের টাকা উদ্ধারের হিরো তিনি। শুরুটা হয়েছিলো ২৩ অক্টোবর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী সুনু মিয়ার ২০হাজার টাকা উদ্ধারের মাধ্যমে। সেই থেকে উপজেলার যে কোনো জায়গায় কেউ প্রতারিত হয়ে টাকা খোয়ালে ছুটছেন থানায়। এগুলো পর্যায়ক্রমে সমাদানও করছেন আসাদুজ্জামান রাসেল। সর্বশেষ গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ছাতক সদর ইউনিয়নের ব্রাক্ষনগাওঁ গ্রামের ফয়জুল ইসলামের মেয়ে কলেজ ছাত্রী রেহেনা বেগমের ২০ হাজার টাকা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার করে ভুক্তভোগীর হাতে আনুষ্টানিক ভাবে তুলেদেন ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ও এসআই আসাদুজ্জামান রাসেল। ভুক্তভোগী রেহেনা বেগম জানান, ভাবতেই পারিনি টাকা গুলো আবার ফেরত পাবো। টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। অবশেষে পুলিশ পারে না এমন কোনো কাজ নেই তা প্রমাণ হলো। পুলিশের কাজের প্রতি বিশ্বাস বহুগুন বেড়েছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে মানুষের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করাই পুলিশের কাজ। সকল কাজই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে এসআই আসাদুজ্জামান রাসেল ইদানিং এই সমস্যাগুলো দ্রুত সময়ে সমাধান করতে সক্ষম হচ্ছে আমি তার সর্বাঙ্গিন সফলতা কামনা করি। এসআই আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, উধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে টাকা উদ্ধারে বারবার সফল হতে পারছি। জনগণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা একটু সচেতন হলে হ্যাকাররা আপনাদের ধোঁকা দিতে পারবে না। উল্লেখ গত ২৯ আগষ্ট ০১৯৮-৯০৫৪৮১ নাম্বার থেকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন আসে কলেজ ছাত্রী রেহেনার মুঠোফোনে এবং উপবৃত্তির টাকা আসছে বলে যানায় প্রতারক। এর কিছুক্ষন পর ০১৮৮৮-৫৫৫৮২৩ থেকে আবারও ফোন করে ২৫.৫০০/টাকা রেহানার নিজ বিকাশে লোড করতে বলা হয়।টাকা ঢোকানার পরে বিভিন্ন পিনকোড চাপতে বলে প্রতারক চক্র,তার কথামত পিন চাপার পর আরও ২৫.৫০০/ টাকা ঢোকাতে বলায় সন্দেহ হয় রেহানার। পরে ব্যালেন্স চেক করে দেখতে পান টাকা নেই। পরবর্তীতে উল্লেখিত নাম্বার সমুহে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে প্রতারকরা। বিষয়টি পরিবারের সাথে শেয়ার করে ছাতক থানায় সাধারন ডায়রী করেন ভূক্তভোগী রেহেনা। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারিত টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ