জগন্নাথপুরে বোরোধান এর বীজ ক্রয়-বিক্রয় এর মহোৎসব

হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

জগন্নাথপুরে বোরোধান এর বীজ ক্রয়-বিক্রয় এর মহোৎসব চলছে। ডিলাররা বিভিন্ন জাতের বীজ ধান সীমিত লাভে রীতিমতো প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা করছেন।

৪ ঠা নভেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজারস্থ বিভিন্ন বীজ ডিলার এর দোকানে ও কলকলিয়া বাজারস্থ রিয়া ট্রেডার্স এন্ড প্রান্ত বীজ ঘরে সোনালী ফসল বোরোধান এর বীজ ক্রয়ে কৃষকদের উপচে পড়া ভীড়। দরকষাকষি করে বিভিন্ন জাতের ধান বীজ ক্রয় করছেন কৃষক কুল।

চলতি মৌসুমে বিভিন্ন কোম্পানির বীজ ধান বাজারে দেখা গেলেও উন্নত ফলনশীল সরকারি ব্রী-২৮ ও ব্রী-২৯ জাতের বীজ ধান ক্রয় করার পাশা-পাশি হাইব্রিড জাতীয় হীরা-২, ইস্পাহানী -৬ জনক রাজ, সুগন্ধা ও এসিআই -২৮(হাইব্রিড) জাতের বীজ ধান ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। তমধ্যে সরকারি ১০ কেজি বস্তার বীজ ধান বিক্রি ৪৭০ টাকা মূল্যে। প্রাইভেট কোম্পানি গুলোর প্রতি কেজি বীজ ২৬০ টাকা ৩৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

বীজ ধান ক্রয়কারী কৃষক সাজুল, জিতু মিয়া ও লেচু মিয়া সহ একাধিক কৃষক বলেন, বিগত বছর হাইব্রিড জাতীয় বীজ ধানে ভাল ফসল হওয়ায় এবারও এ জাতীয় বীজ ধান ক্রয় করছি। বীজের মূল্য ভালই আছে।

কলকলিয়া বাজারস্থ রিয়া ট্রেডার্স এন্ড প্রান্ত বীজ ঘর এর মালিক ও ডিলার দিলীপ দাশ সহ একাধিক ব্যবসায়ী একান্ত আলাপকালে বলেন, বিভিন্ন জাতের বীজ ধানে বাজার সয়লাব। তাই প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা করতে গিয়ে অল্প লাভেই বীজ বিক্রয় করছি।

এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, বীজ ধানে বাজার সয়লাব হওয়ায় কৃষকেরা কিছুটা হলেও কম মূল্যে ক্রয় করতে পারছেন। আমরাও এটা চাই। কেউ উচ্চ মূল্যে বীজ বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে সরকার কর্তৃক অনুমোদনহীন কোন বীজ বিক্রি করা যাবে না। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।

এদিকে বিগত বছর সোনালী ফসল বোরোধান ভাল হওয়ায় কৃষকেরা এবার জমি আবাদে আরো বেশী উৎসাহিত হয়েছেন। ইতিমধ্যে হাওর থেকে পানি নিষ্কাশন হওয়ার সাথে সাথে বীজতলা তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কুল। একই সাথে চলছে বোরো জমি পরিস্কার -পরিছন্ন করার কাজ।

হাবিবা আক্তার জেছি //