লজিং

প্রকাশিত: ১:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২১

লজিং

“লজিং”

 

অমৃত জ্যোতি(বিশেষ প্রতিবেদন)

বাংলাদেশে বিলুপ্ত হয়েছে লজিং থাকা।লজিং এর বাংলা হলো জাগির থাকা অর্থাৎ অন্যের বাড়িতে থাকা।সম্প্রতি কালে মাস্টার মশাই বা ছাত্র ছাত্রীরা লজিং ছাড়া লেখাপড়া বা শিক্ষকতাই সম্ভব হতো না।এর একমাত্র কারন ছিল দুর দুরান্তে সুবিধাজনক স্থানে শহরে গঞ্জে ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।যোগাযোগের অব্যবস্থাপনার কারনে গন্তব্যে পৌঁছুতে দেরী হতো।যার কারণেই লজিং না থেকে শিক্ষা মূলক কার্যক্রম অসম্ভব ছিলো।কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়েছে লজিং থাকা। লজিং -নিজের খাবার চাল,বিছানাপত্র,চেয়ার,টেবিল যাবতীয় খরচাদি বহন করে অন্যের বাড়িতে শুধুমাত্র থাকা।বিনিময়ে ঐবাড়ির মালিকের সন্তানাদিদের নিঃশর্তে প্রাইভেট পড়ানো।আবার অনেক বাড়ির মালিকে টাকাও দিতে হতো।এছাড়ও বাড়ীর প্রধানকে বলা হতো জাগির মস্টার(জায়গার দাতা)।তাঁর প্রতি ভয় পেয়ে থাকতেন লজিং এর ব্যাক্তি।আবার সম্মানের দিকেও কম ছিল না ঐ বাড়িতে লজিং থাকা ব্যাক্তির।বর্তমানে আধুনিকতা ও ডিজিটাল যমুনায় কাউকে আর লজিং থাকতে দেখা যায় না লজিং বিলুপ্ত হয়েছে।যোগাযোগের সুবিধা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতি প্রত্যেকেই নিজ পায়ে দাড়ানোর চেষ্টা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন প্রায় বেশির ভাগ মানুষ। এবং উপর্জনশীল হচ্ছে মানুষ। তাই নিজ খরচে ভাড়াকরে ব্যাচেলর ভাবে হলেও চলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে স্বাধীন বাংলার স্বাধীন জনমানুষ।আর তাই হাড়িয়ে গেছে অনেক বড় বড় গুনিজনদের লেখাপড়া জীবনে জড়িনো (জাগির থাকা)নামের সৈ প্রচীন শব্দটি “লজিং”।

 

হাবিবা আক্তার //

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ