গ্যাসের দাবির সাথে সীমান্তের ভূমি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ দাবি তোলা অতীব জরুরি

প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০

গ্যাসের দাবির সাথে সীমান্তের ভূমি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ দাবি তোলা অতীব জরুরি

নূরুজ্জামান মনি :
এ বছরের প্রলয়ংকরী বন্যা আমার আশঙ্কাকে সত্যে পরিণতকরলো। সিলেটের উত্তরাঞ্চলের চারটি উপজেলায় বন্যা যে ভয়ঙ্কর মানবিক দুর্যোগ ডেকে এনেছে, তা প্রাকৃতিক নিয়মে হয়েছে বলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এ দুর্যোগ পুরোপুরি মানবসৃষ্ট। এমন দুর্যোগ বছর বছর আরো ভয়াবহ প্রলয়ংকরী রূপ নেবে বলেই আমার আশঙ্কা।

বন্যা প্রতি বছরই হয়। বিপন্ন মানুষেরা বন্যার সাথে অসম সাহসে লড়াই করেই বাঁচে। এটা নতুন কোনো গল্প নয়। কিন্তু এ বছর বন্যার ধরন-আকার সম্পূর্ণ নতুন। একটার পর একটা বন্যা আসছে। বন্যার পানির উচ্চতাও অন্যান্য বছরের বন্যার চেয়ে অধিক। অডোবা উঁচু জায়গাও প্লাবন এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

আমি কোনো বিশেষজ্ঞ নই। অতি সাধারণ-ক্ষুদ্র জ্ঞান এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, গোটা সীমান্ত বরাবর নির্মম কাটা-চেরা ও ভূমি খোঁড়াখুঁড়ির ফল এখন ফলতে শুরু করেছে। পাথরখেকোরা গোটা এলাকায় যেভাবে বিনাশি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে বন্যাজনিত দুর্যোগের প্রভাব দিনে দিনে বাড়বেই। কেননা শক্তিশালী যন্ত্র-দানব ব্যবহার করে যেভাবে উঁচু নিচু টিলা-পাহাড়- সমতলভূমি খুঁড়ে পাথর তোলা হচ্ছে, তাতে মাটির ভেতরের শক্তি-ক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন্যার পানি রোধ করার কোনো শক্তিই আর এই মাটির বুকে থাকছে না।

পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল সরাসরি আঘাত হানছে বসত ভিটেয়। ডুবিয়ে দিচ্ছে জনপদ। মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। ওদিকে পাহাড়ি খরস্রোতা নদীগুলো ভরাট হয়ে হারাচ্ছে পানি ধারন ক্ষমতা। একটু বৃষ্টি হলেই দেখা দিচ্ছে ভয়াবহ বন্যা। পাথরের বেষ্টনি না থাকায় সীমান্তের ভূমি পাহাড়ি ঢলের কাছে করছে অসহায় আত্মসমর্পণ। জলমগ্ন হচ্ছে গোটা অঞ্চল।

অপরদিকে পাহাড়ি স্রোতের সাথে ধেয়ে আসা রাশি রাশি বালুর স্তুপ ভাটিতে এসে ফসলি জমির মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে। নষ্ট করছে জমি-জমার উর্বরতা। ভরাট করে দিচ্ছে মাছের আবাসস্থল খাল-বিল-নদী-নালা। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিপুল মৎস্য-সম্পদ। মাছের প্রজনন-ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রকৃতি-নির্ভর এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে নেমে আসছে অকল্পনীয় দুর্ভোগ।

জাফলং-লালাখাল-শ্রীপুর-বিছনাকান্দিসহ সীমান্তের সমস্ত পাথরসম্পদসমৃদ্ধ পর্যটন এলাকা ভয়াবহ মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের সম্মুখীন। বনাঞ্চলের অস্তিত্ব এখন তো আর নেই। খোদ বন বিভাগই রক্ষক না হয়ে ভক্ষকরূপে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়াও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে সুবিস্তৃত বনাঞ্চল। অথচ আমরা জানি, গাছপালা-বনাঞ্চল না থাকলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে না। অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি-খরা ও বন্যা-বজ্রপাতসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে, যা এ বছর চরম উদ্বেগ নিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেছে।

এখানে ভূমিরক্ষা-বিষয়ক রাষ্ট্রীয় কোনো নীতিমালা মোটেই কার্যকর নয়। মাটির নাড়িভূঁড়ি নির্মমভাবে খুঁড়ে পাথর আহরণে কোনো নির্দিষ্ট আইন কানুন নেই। যে যার ইচ্ছেমতো মাটি খুঁড়ছে। বোমামেশিন বসিয়ে স্থায়ী ভূমি খুঁড়ে মাটির অনেক গভীর থেকে পাথর তোলা হচ্ছে। এতে শুধু পরিবেশ বিপর্যয়ই নয়, মারাত্মকভাবে শব্দদূষণও হচ্ছে। গভীর রাত পর্যন্ত বিকট শব্দে পাথর উত্তোলনের মহাকর্মযজ্ঞ চলে। মাঝে মাঝে টাস্ক ফোর্স লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে দু’একটি বোমামেশিন জ্বালিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করে। তারপরই যথাপূর্বংতথাপরং।

সিলেট জেলার উত্তরাঞ্চলের প্রকৃতি-প্রদত্ত সম্পদ এই পাথর সারা দেশের অবকাঠামোর উন্নয়নে অবদান রাখছে বটে, কিন্তু এই অঞ্চলে এসবের অবদান নেই বললেই চলে। খেটে খাওয়া নারী-পুরুষ ও শিশুদের হাতে দিনমজুরির নামে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে বড় অংশই অন্য অঞ্চলের মুনাফাভোগীরা শুষে নিচ্ছে। যন্ত্রদানব বসিয়ে প্রশাসনকে হাত করে সোনার মাটিকে বিরান করে দিয়ে ফেলে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় জনগণ (কতিপয় সুবিধাভোগী টাউট শ্রেণীর লোক বাদে) চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

ওদিকে কোনো কারণে পাথর উত্তোলন বন্ধ হলে হাজার হাজার পাথর শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে বলে শোর ওঠে। কথাটা মিথ্যে নয়। এই নির্দয় পাথর ব্যবসার সাথে হাজার হাজার শ্রমিকের ভাগ্য জড়িয়ে গেছে। পাথর উত্তোলন বন্ধ হলে শ্রমিক এবং তাদের পরিবার পরিজন মারাত্মক সংকটের মুখে পড়ে। বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারে সংকুচিত হয়ে এসেছে। তাই কোয়ারির কাজ বন্ধ হলে তাদেরকে অনাহারে অর্ধাহারে দিন গুজরান করতে হয়। কিন্তু একটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করলে বোঝা যায়, এটি একটি সস্তা ইস্যু। স্বার্থান্বেষী মহলই তাদের ব্যবসা চালু করার স্বার্থেই এমন ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসে। শ্রমিকদের স্বার্থচিন্তার ছিঁটেফোটাও এই ইস্যুতে খুঁজে পাওয়া যায় না।

যদি সত্যিই শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ওদের কোনো ভাবনা থাকতো, তবে অবশ্যই ওরা শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে ভাবতো। এই যে হাজার হাজার শ্রমিক কোয়ারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে, এদের জীবনের কি কোনো নিরাপত্তা আছে? প্রতি বছর অনেক শ্রমিক এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে অকাতরে প্রাণ হারায়। কেউ নৌকাডুবিতে মারা যায়। কেউ মাটির গভীর থেকে পাথর তুলতে গিয়ে বালুচাপা পড়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মারা যায়। কেউবা বোমা মেশিন নামক যন্ত্রদানবের সাথে ধাক্কা লেগে মরে। তাছাড়া অনেক শ্রমিক পাথর তুলতে তুলতে ভারতীয় সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়লে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ’এর গুলিতে মারা যায়। এসব ঘটনায় নিহতদের জীবনের কোনো মূল্য এইসব মুনাফালোভীদের কাছে নেই। সামান্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও উদ্যোগ ওরা নেয় না। ঝুঁকিপূর্ণ এসব কাজের জন্য নেই জীবনবীমা। কিংবা মারাত্মক আহত হয়ে পড়া কোনো শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ন্যুনতম কোনো সুবিধা নেই। অথচ এসব ব্যাপারে কোনো মহল থেকে দাবি উত্থাপন করতে কখনো শোনা যায়নি। তাই সহজেই বলা যায়, শ্রমিকদের ব্যাপারে কেউই আন্তরিক নয়। স্বার্থান্বেষীদের স্বার্থেই কোয়ারি খুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই আবেগময় ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসা হয়।

বাংলাদেশ তো এমন দেশ নয়, যে দেশে শ্রম আইন নেই। অন্যান্য মিল-ফ্যাক্টরিতে শ্রম আইন প্রযোজ্য হলেও কোয়ারিতে তার প্রয়োগ নেই। শ্রমিকদের কোনো নিরাপত্তা পোশাক দেওয়া হয় না পানিতে ডুব দিয়ে পাথর তোলার জন্য কোনো বিশেষ স্যুটের ব্যবস্থাও থাকে না। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই তাদেরকে কাজ করতে হয়। পাথরের মধ্যে কাজ করলেও মাথা বাঁচানোর জন্য হেলমেটও সরবরাহ করা হয় না। তাছাড়া ভূমিধ্বস থেকে নিজেকে বাঁচানোর সামান্যতম কোনো সুবিধা নেই।

এ অবস্থায় এই বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষকে বিপন্নতার কবল থেকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি প্রণয়ন আবশ্যক। “জৈন্তিয়ায় গ্যাস চাই” এই আন্দোলনের পাশাপাশি গোটা এলাকার ভূমি ও পরিবেশের বিপন্নতা রোধে সর্বাত্মক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। পাথর উত্তোলন ও সংগ্রহকে একটি বিধিবদ্ধ নিয়মের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বোমা মেশিনরূপী এইসব যন্ত্রদানব এক্ষুনি কোয়ারি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। আমি মনে করি, গ্যাসের চেয়েও ভূমি ধ্বংসের বিরুদ্ধে আন্দোলন দাঁড় করানো আরো বেশি জরুরি। বেপরোয়া পাথর উত্তোলনজনিত বিপর্যয় প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা নির্বোধের মত নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুঠার হানছি। অচিরেই গোটা অঞ্চল চাষবাসের অযোগ্য অনুর্বর বিরান মরুভূমিতে পরিণত হয়ে মানব বসবাসের যোগ্যতা হারাবে। ঘন ঘন বন্যা-খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত করে তুলবে গোটা জনপদ। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, আর কালক্ষেপনের সময় নেই। সমস্ত ক্ষুদ্র-তুচ্ছ চিন্তা-দলাদলি-রেষারেষি ভুলে এক্ষুনি সবাই এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ান। ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলুন। “পরিবেশ বাঁচাই, প্রকৃতি বাঁচাই, নিজে বাঁচি”।

পুনশ্চ: সিলেট জেলার উত্তরাঞ্চলের সারি, লালাখাল, শ্রীপুর, জাফলং, পান্তুমাই, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ, রাতারগুল প্রভৃতি অঞ্চল পর্যটকদের চোখে আকর্ষনীয় স্পট হয়ে উঠেছে। দেশি পর্যটক তো বটেই, বিদেশিরাও এইসব স্পটের সৌন্দর্য নিজ চোখে দেখে প্রাণ জুড়াতে ছুটে যাচ্ছেন। বিদেশি গণমাধ্যমগুলোতে আমি দেখেছি, অনেক বিদেশি পর্যটক এখন হলিডে করতে বাংলাদেশে ছুটে যাচ্ছেন। ঐ অঞ্চলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার কথা বলছেন।

বিশেষ করে ব্রিটিশ সেলিব্রিটি শেফ রিক স্টেইন (Rick Stein) বাংলাদেশ সফর করে এসেছেন। তিনি পুরো বাংলাদেশ সফর করে সিলেটে যান। সারি, লালাখাল, শ্রীপুর, জাফলংসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শোভিত অঞ্চলগুলো সফর করেন। প্রাক্তন এমপি নাজিম কামরান চৌধুরী তার গাইডের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিলেটের চা বাগানসহ দৃষ্টিনন্দন সকল এলাকা সফর করে মুগ্ধ হন। রিক স্টেইনের এই সফরটি ফার ইস্টার্ন ওডিসি (Far Eastern Odyssey) শিরোনামে বিবিসি’র মূল চ্যানেল প্রচার করে। এই বিদেশি পর্যটকের ধারাবর্ণনায় সিলেটের এই সৌন্দর্যের ছবি সারা বিশ্বের সৌন্দর্য পিপাসুদের কাছে পৌঁছে গেছে।

আমি তিনবছর আগে এ বিষয়ে একটি কবিতা লিখেছিলাম, যা আজো প্রাসঙ্গিক :

নিসর্গকন্যা জাফলং তার মরণদশা
নূরুজ্জামান মনি

জাফলং, যেন শুয়ে আছে এক প্রাগৈতিহাসিক গরূঢ়ের মৃতদেহ।
তার করোটি ভেদ করে খাদকেরা
তুলে নিচ্ছে নাড়িভুঁড়ি। খুলে নিচ্ছে কলিজা-ফুসফুস-হৃদপিণ্ড-অন্ত্রনালি সব।
মেঘালয়ের পাদদেশে নিসর্গের মনলোভা সুন্দরী জাফলং।
একদা কি ছিল তার ছিরি। শান্ত-শুনশান। অগভীর পাহাড়ি নদীর সে কী স্বচ্ছতোয়া জল। গুচ্ছ গুচ্ছ নিরবতা চারপাশে। শীতল করে দিতো দূর থেকে ছুটে আসা পিপাসু পর্যটকের প্রাণ।

আজ শুধু শোনা যায় পাথরখেকো শেয়াল-শকুন আর হায়েনার বীভৎস উল্লাস। কী নির্মম ব্যবচ্ছেদে খুঁড়ে খুঁড়ে খায় সুন্দরীর গ্রীবা-পেট-উরু-জঙ্ঘা-নাভিমূল। নিসর্গ-নন্দিনী জাফলং মৃতবৎ চিত হয়ে অসহায় খুলে রাখে দেহদোর। কেঁদে কেঁদে অবশেষে নিঃশেষ হয়ে যায় তার সকরুণ অশ্রুজল।
আমি সেই রূপসীর অশ্রুজল দেখেও প্রতিকারহীন দাঁড়িয়ে আছি, নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকি। তার সারা দেহ কাটাচেরা। আকাশ কালো করে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে শকুনের পাল। দূরত্বে দাঁড়িয়ে তাণ্ডব দেখে নখদন্তহীন অবাক মানুষ। মাটির গভীরে দিনমান ঘর্ঘর যান্ত্রিক দানবের ধাতব হুঙ্কার। মটমট ভাঙছে মাটির করোটি।

জানি না কার কাছে গেলে প্রতিকার পাবো! দানবের চোয়াল ভাঙার লড়াইয়ে কে আমার দাঁড়াবে পাশে!
কে বাঁচাবে হায় সুন্দরীর গ্রীবা?আমি জানি নিসর্গ আপন নিয়মে নেবে এইসব দুষ্কর্মের শোধ। নন্দিনী রূপসী পর্বতদুহিতা একদিন সংহারমূর্তি ধরে এসে দেখা দেবে। আমি সেই সেদিনের কথা ভেবে কেঁপে কেঁপে উঠি। কেননা আমি তো জানি, নিসর্গ বেশিদিন অনিয়ম সহ্য করে না।

লেখক সাংবাদিক কবি ও কলামিস্ট (ম্যানচেস্টার
ইউকে থেক)

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ